শ্রমিক শ্রেণিকে রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠতে হবে
করোনা দুর্যোগের মধ্যেও দেশের শ্রমিক শ্রেণি মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে যেভাবে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রেখেছে, সে অনুযায়ী সরকার ও মালিক তাদের ন্যায্য পাওনা দেয়নি। শ্রম-দাসত্বের অবসান ঘটাতে শ্রমিক শ্রেণিকে রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠতে হবে।
শনিবার (১ মে) দুপুরে সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে ‘করোনা মহামারি ও বাংলাদেশের শ্রমিক শ্রেণি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
বিজ্ঞাপন
শ্রমিকের জীবন ও নিরাপত্তা এখনও সরকার ও রাষ্ট্রের অগ্রাধিকারের মধ্যে নেই বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অবস্থা বদলাতে হলে শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষকে রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত হতে হবে এবং সাম্যভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
করোনা মহামারিতে উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য শ্রমিকেরা কোনো প্রণোদনা বা ঝুঁকি ভাতা পাননি বলে দাবি করে সাইফুল হক বলেন, রাষ্ট্র-সরকার তাদেরকে কোনো সম্মান বা মর্যাদা দেয়নি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে অমানবিক ও নিষ্ঠুর আচরণ করা হচ্ছে। গার্মেন্টসসহ অধিকাংশ শিল্প কারখানায় এখনও শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি ও উৎসব ভাতা দেওয়া হয়নি।
বিজ্ঞাপন
আগামী ৭ মের মধ্যে সব খাতের শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভোটের অধিকার না থাকায় শ্রমজীবী মানুষ আরও গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। শ্রমিকদের বাঁচার জন্য ন্যায্য আন্দোলনকে নানাভাবে দমন করা হচ্ছে। রোজার মাসে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বর্বরোচিতভাবে শ্রমিক হত্যা করা হয়েছে। শ্রমিকদের দাবি দাওয়ার ন্যায্য আন্দোলনের বিরুদ্ধেও পুলিশ ও মাস্তান লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শ্রমিকরা এখনও করোনা টিকা কার্যক্রমের বাইরে বলে উল্লেখ করেন সাইফুল হক।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, সংহতি সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি ইফতেখার আহমেদ বাবু, সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন অর রশীদ, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির কার্যকরি সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক প্রমুখ।
এএইচআর/আরএইচ