বিএসএমএমইউ-তে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিলেন ওবায়দুল কাদের

করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

সোমবার (২৪ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেন তিনি। এর আগে ৩১ মার্চ একই জায়গায় করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন ওবায়দুল কাদের। 

গত ২৭ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশে করোনা টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। সেদিন দেশে প্রথম টিকা নেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্স। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় গণ টিকাদান। 

২৫ মে থেকে চীনা টিকা প্রয়োগ শুরু

চীন থেকে আসা ৫ লাখ টিকার প্রয়োগ শুরু হবে আগামী ২৫ মে থেকে। সেক্ষেত্রে বাদপড়া ফন্টলাইনাররা এ টিকার অগ্রাধিকার পাবে।  সোমবার (১৭ মে) দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক এ কথা জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চীনের যে ভ্যাকসিন এসেছে সেটির প্রথম ডোজ ২৫ মে থেকে দেওয়া শুরু হবে। এ ছাড়া আমরা রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলেছি ভ্যাকসিনের জন্য। ঈদের ছুটির মধ্যে আমরা এ কাজ চালিয়ে  যাচ্ছি। এর সঙ্গে পররাষ্ট্র, অর্থ, পিএমও সহ আরও কয়েকটি মন্ত্রণালয় যুক্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন: টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে আমরা চিন্তিত

মন্ত্রী বলেন, তাই আমরা বসে নেই। যেখান থেকে আগে ভ্যাকসিন পাবো, সেখান থেকে নেবো। প্রয়োজনে একাধিক জায়গা থেকে টিকা নেওয়া হবে। তবে ফাইনাল কিছু হলে জানতে পারবেন। দ্বিতীয় ডোজের জন্য ভারত ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী নিজেও চেষ্টা করেছেন। ভারতের কাছে অর্ডার আছে ৩ কোটি, পেয়েছি ৭০ লাখ। এজন্য দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে আমরা চিন্তিত।

তিনি বলেন, ‘যেকোনো ভ্যাকসিন তৈরি/উৎপাদন করতে হলে ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন লাগে। যারা আবেদন করে যাচাই-বাছাই করা হয়। আমাদের সিদ্ধান্ত ক্রয়ও করব, প্রয়োজনে উৎপাদন করব। যাদের উৎপাদনের সক্ষমতা আছে তাদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রথমে তাদের আবেদন দেখে আমাদের কাছে আসতে হবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সেরকম কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেব।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রতিবেদন এলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। টিকা ক্রয় করার চেষ্টা থাকবে, তাহলে তাড়াতাড়ি হবে। টিকা তৈরি করলে দীর্ঘসময় লাগবে। উৎপাদন করলেও পাঁচ-ছয় মাসের আগে করা সম্ভব না।’

এইউএ/এইচকে