ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেছেন, খুনিদের সেফ এক্সিট দিলে চরম মূল্য দিতে হবে। চট্টগ্রাম নেভাল সেন্টারের ঘটনায় জড়িত সৈনিকরা কি লীগ কোটায় চাকরি প্রাপ্ত? কেন তারা ছাত্র-জনতাকে রড দিয়ে পিটিয়েছে? অন্তর্বর্তী সরকারকে তা জাতির সামনে স্পষ্ট করতে হবে।

রাজধানী উত্তরের ভাটারার আস-সাঈদ মিলনায়তনে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর উত্তর ‘পুনর্গঠিত কমিটি শপথ’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত শুরা অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শুরার অধিবেশনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- দলের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন সাকি।

আশরাফুল আলম বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এখনো ফ্যাসিবাদের মতো আচরণ করছে। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, ফুটপাতমুক্ত নগর প্রয়োজন। যানজটে মানুষ অস্থির হয়ে যাচ্ছে। বিচারবহির্ভূত হত্যা মেনে নেওয়া যায় না। যুবদল নেতাকে যৌথ বাহিনী নির্যাতন করে মেরেই ফেলল? এটা মেনে নেওয়া যায় না। দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটলে এর দায় প্রশাসন এড়াতে পারে না। প্রশাসনের ভেতর এখনো আওয়ামী ভূত ঘাপটি মেরে আছে। তারাই এ ধরনের কাণ্ড ঘটাচ্ছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকি বলেন, ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারমুক্ত করে দেশকে বাঁচাতে হলে সামরিক এবং বেসামরিক সব স্তর থেকে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী দোসরদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। গুম, খুন গণহত্যা ও স্বৈরশাসন কায়েম করে যারা দেশকে কসাইখানা বানিয়েছিল তাদের কোনোভাবেই দেশত্যাগ করতে দেওয়া হবে না।

সভাপতির বক্তব্যে শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, বিপ্লবী সরকারের আমলে সংস্কার না হলে নির্বাচিত সরকার এসে জনগণের ওপর আবার জুলুমের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। আর দোষ চাপাবে বিগত সরকারের ওপর। তাই সংস্কার ব্যতীত নির্বাচন দিলে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে।

জেইউ/এমএ