শেখ মুজিব গণতন্ত্রকে টুঁটি চেপে হত্যা করেছেন : আব্দুস সবুর ফকির
শেখ মুজিবুর রহমান গণতন্ত্রকে টুঁটি চেপে হত্যা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির।
তিনি বলেন, এজন্যই তাকে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি প্রচার করলেও তাকে হত্যার পর একটা লোকও প্রতিবাদ করেনি। এমনকি নিজ দলের নেতাকর্মীদেরও প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি। একইভাবে তার মেয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরও সারা দেশে আওয়ামী লীগের একজন নেতাকর্মীকেও দেখা যায়নি।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জামায়াতে ইসলামীর সবুজবাগ দক্ষিণ সাংগঠনিক থানার উদ্যোগে স্থানীয় বিনোদিনী হাইস্কুল মাঠে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে শীতবস্ত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুস সবুর ফকির বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত ও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগ এ দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের পতনের মাধ্যমে এ দেশের জনগণ জুলুম ও শোষণের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
বিজ্ঞাপন
নাগরিকদের সংখ্যালঘু-সংখ্যাগরিষ্ঠ বিভাজনে জামায়াতে ইসলামী বিশ্বাসী নয় উল্লেখ করে জামায়াতের নেতা বলেন, নাগরিকদের সমঅধিকারে জামায়াতে ইসলামী বিশ্বাসী। জামায়াত রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে হিন্দু সম্প্রদায়কে আর সংখ্যালঘু বানিয়ে রাখতে দেবে না। এ দেশের প্রতিটি মানুষ সমান অধিকার ও মর্যাদা লাভ করবে। কে কোন ধর্মের অনুসারী রাষ্ট্রের কাছে সেটি বিবেচ্যের বিষয় হবে না, রাষ্ট্র বিবেচনা করবে সবাই রাষ্ট্রের নাগরিক।
আরও পড়ুন
তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনীতি করে না। জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি হচ্ছে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় মানুষের পাশে থাকা। জামায়াত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় কখনো যায়নি কিন্তু রাষ্ট্রের প্রতিটি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করছে। এই আন্দোলন জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত চলবে।
সবুজবাগ দক্ষিণ থানা আমির মাওলানা আবদুল বারীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদের সদস্য ড. মোবারক হোসাইন বলেন, এ দেশের মানুষের সত্যিকারের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে জামায়াত। কিন্তু জামায়াতের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র হয়েছে এবং হচ্ছে। ইসলাম সব মানুষের অধিকার ও নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার নিশ্চিতায় দিয়েছে। তাই জামায়াতের নেতৃত্বে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে এখানকার প্রতিটি মানুষ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারবে।
সবুজবাগ দক্ষিণ থানা সেক্রেটারি কামরুল হাসান রিপনের পরিচালনায় শীতবস্ত্র উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সবুজবাগ-মুগদা জোনের সহকারী পরিচালক মনির বিন আনোয়ার, সবুজবাগ পূর্ব থানা আমির রওশান জামান, মুগদা পূর্ব থানা আমির মো. ইসহাক, সেক্রেটারি মো. ওমর ফারুক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ফোরামের ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি মিল্টন বড়ুয়া, সবুজবাগ ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মো. আবদুস সোবহান, সবুজবাগ থানা ইসলামী ছাত্র শিবির সেক্রেটারি এখলাস হোসেন, বিনোদিনী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক গৌতম কুমার সাহাসহ স্থানীয় নেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা।
জেইউ/এমএন