বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনার বক্তব্যের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় ৩২ নম্বরে অগ্নিসংযোগ ও বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত।

হাসিনার উসকানিতে জড়িয়ে পড়লে গণঅভ্যুত্থানের অর্জন হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ৩২ নম্বর গুঁড়িয়ে দেওয়াসহ দেশজুড়ে সৃষ্ট অরাজক পরিস্থিতির দায়দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকার এড়িয়ে যেতে পারে না।

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন,  এই ঘটনা উল্টো গণঅভ্যুত্থানে উৎখাত হওয়া আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ও সামাজিক পুনর্বাসনের রাস্তাই কেবল প্রশস্ত করবে। শেখ হাসিনার উসকানির ফাঁদে জড়িয়ে পড়লে অনভিপ্রেত অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে একদিকে বহুমুখী ষড়যন্ত্রের শক্তি শক্তিশালী হবে, আর অন্যদিকে গণঅভ্যুত্থানের অর্জন হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরও বলেন, এইসব অরাজক ঘটনার দায়দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকার কোনোভাবেই এড়িয়ে যেতে পারেনা। সরকারের নিষ্ক্রিয়তার কারণেই দেশজুড়ে যে এইসব ঘটনা সংঘটিত হতে পেরেছে তাও স্পষ্ট। এই ধরনের ঘটনা অন্তর্বর্তী সরকারের অকার্যকারিতাকেই বড় করে তুলছে। 

সাইফুল হক বলেন, শেখ হাসিনার গতকালের বক্তব্যে ছাত্র শ্রমিক জনতার গণহত্যা ও তার ষোল বছরের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের আমলে সংঘটিত অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা দূরের কথা, কোনো ধরনের অনুশোচনা পর্যন্ত নেই, বরং তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি প্রকারান্তরে উসকানি সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন। শেখ হাসিনার এসব তৎপরতায় ভারতের মোদি সরকার ও বিজেপিরও যে মদদ রয়েছে তাও পরিষ্কার। গণহত্যার অপরাধের জন্য বাংলাদেশে যখন শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে তখন শেখ হাসিনার এই ধরনের বক্তব্য ঔদ্ধত্বের শামিল।

পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তির উসকানি ও নাশকতা সৃষ্টির অপতৎপরতা মোকাবিলায় ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্টদের কৌশল নিতে পারে না বলে উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ড একদিকে সামাজিক নৈরাজ্যেরই বিস্তার ঘটাবে, আর অন্যদিকে গণঅভ্যুত্থানের অংশীজন ও জনগণের মধ্যে ঐক্যের পরিবর্তে আরও বিভক্তি ও বিভাজন তৈরি করবে।

এএইচআর/এনএফ