বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি নিয়ে কোনো তালবাহানা সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা মহানগরী উত্তরের মোহাম্মদপুর থানা জামায়াত আয়োজিত সুধী সমাবেশ ও প্রীতিভোজ অনুষ্ঠানে নেতারা এ হুঁশিয়ারি দেন।

এসময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার মিথ্যা ও সাজানো মামলায় এটিএম আজহারুল ইসলামকে বিগত ১৩ বছর যাবত কারাগারে আটক রেখে অমানবিক কষ্ট দিয়েছে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর বৈষম্যবিরোধী অনেক রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। অথচ এটিএম আজহারুল ইসলাম এখনো কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

তিনি বলেন, স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা পতনের ছয় মাস পেরোলেও এটিএম আজহার মুক্তি না পাওয়ায় দেশবাসী হতবাক ও বিস্মিত। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যদি তাকে মুক্তি দেওয়া না হয়, তবে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে যে কোনো মূল্যে মুক্ত করা হবে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি নিয়ে কোনো তালবাহানা সহ্য করা হবে না।

মোবারক হোসাইন বলেন, স্থানীয় সরকারের কাজ স্থবির হয়ে আছে। দেশের নাগরিকরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে স্থানীয় সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই জন-আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের আগে অবশ্যই স্থানীয় নির্বাচন দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দুর্নীতির সম্ভাবনা অনেক কম। বর্তমানের নির্বাচনে যেভাবে টাকা বিতরণ ও ব্যালট ডাকাতিসহ নানা ধরনের দুর্নীতি হয়ে থাকে তা বন্ধ করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা কার্যকর করার জন্যই দেশের মানুষ সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বশীল নির্বাচন ব্যবস্থা চায়। এ নির্বাচন ব্যবস্থায় জনগণ কোনো ব্যক্তিকে ভোট না দিয়ে দল ও ওই দলের আদর্শের পক্ষে ভোট দেয়। এ ব্যবস্থার মাধ্যমেই সঠিকভাবে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটতে পারে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরার সদস্য ও মোহাম্মদপুর পূর্ব সাংগঠনিক থানা আমির মশিউর রহমান, থানা সেক্রেটারি আনিসুর রহমান।

টিআই/এসএসএইচ