৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার আল্টিমেটাম আহত শিক্ষার্থীর
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বুধবার (৫ মার্চ) রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের যাওয়াকে কেন্দ্র করে একপক্ষের প্রতিবাদী স্লোগান ও পরে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী আহত হন। মো. মুশতাক তাহমিদ নামের এমবিএর ওই শিক্ষার্থীর পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাত লেগেছে। সেখানে ১৩টি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে আহত মুশতাক তাহমিদ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ নম্বর ফটকে সংবাদ সম্মেলন করেন। হামলায় দায় কোনো সংগঠনকে না দিয়ে ব্যক্তিকে দিয়েছেন মুশতাক তাহমিদ। এসময় তার সঙ্গে আরও চার শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে মুশতাক তাহমিদ বলেন, ‘আমাকে ছুরিকাঘাত করা আহমেদ শাকিল ছাত্রদলের নেতা হতে পারে না, সে সন্ত্রাসী। শাকিল যে কাজ করেছে এটা তার ব্যক্তির দায়, ছাত্রদল তার দোষের দায় নেবে না। আমি মনে করি, গতকালের (বুধবার) ঘটনায় ছাত্রদলের কোনো দোষ নেই। ব্যক্তির অপকর্মের দায় কখনো সংগঠনের হতে পারে না। আমি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানাব, শাকিলের দায় আপনারা নেবেন না।’
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের ঘটনায় ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে আমি কয়েকজনকে নিজে চিনি। তবে এদের মধ্যে আহমেদ শাকিল ও মাসরুর হামলা করে। এর মধ্যে আহমেদ শাকিল আমাকে ছুরিকাঘাত করে এবং মাসরুর মাথায় কামড় দেয়। এ ঘটনায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কেউ ছিলেন না।’
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষার্থী বলেন, ‘গতকাল ভাটারা থানায় আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা যখন মামলা করতে গিয়েছিল, তখন সেখানে আহমেদ শাকিল উপস্থিত ছিল। সে বলেছিল, এমন মামলা তার নামে অনেক হয়েছে, এতে তার কিছু যায় আসে না। পরে ভাটারা থানার ওসি আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের মামলাটি নেয়নি। থানা থেকে বলা হয়েছে, তাদের ওপর থেকে নির্দেশ আছে যে কারণে মামলা নিতে পারবে না।’
মুশতাক তাহমিদ আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, ছাত্রলীগ এখন না থাকলেও তারা বিভিন্ন দলের ব্যানারে ঢুকে ঝামেলা করার চেষ্টা করছে।’
এসময় তিনি এ ঘটনায় প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।
এমএসআই/এসএসএইচ