ধর্ষকের প্রকাশ্য শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে : হেফাজত
বড় বোনের বাসায় আট বছরের শিশুকন্যা ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনা জাহেলি যুগের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান।
রোববার (৯ মার্চ) দলটির যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীর স্বাক্ষর করা এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ধর্ষকদের প্রকাশ্য শাস্তি নিশ্চিতের দাবি করেন।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে বলেন, অতিদ্রুত ধর্ষকদের প্রকাশ্যে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ইসলামে ধর্ষণকারীকে জনসম্মুখে শাস্তি দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘তাদের শাস্তি দিতে যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয় এবং মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে’ (সূরা নুর, আয়াত-২)। রাসুল (সা.) এর যুগে এক নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হলে তিনি ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড দেন। ধর্ষককে প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়ার বিধান ইসলামে রাখা হয়েছে যাতে মানুষ এই শাস্তি স্বচক্ষে দেখতে পায়। প্রকাশ্য শাস্তি দেখলে মানুষের মধ্যে ভয় ঢুকবে এবং এ ধরনের কাজ থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রাখতে সচেষ্ট থাকবে।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
হেফাজত নেতারা বলেন, বন্দি স্বামীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে পবিত্র শবে কদরের দিনে রোজা ভাঙিয়ে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করা সাবেক র্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিনেরও প্রকাশ্য শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। শেষবার ধর্ষণের পর সেই নারী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে মারা যান। ফ্যাসিস্ট আমল থেকে দীর্ঘ বিচারহীনতার কারণেই এখনো ধর্ষণের ঘটনা চলমান। ধর্ষণ রোধে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ধর্ষকদের দ্রুত প্রকাশ্য বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।
তারা আরও বলেন, নারী-শিশুর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার পেছনে বিচারহীনতাই মূলত দায়ী। গৃহকর্মী কিশোরীকে নিপীড়নপূর্বক হত্যা করেও বিনা বিচারে জামিন পেয়ে যান একটি গণমাধ্যমের নির্বাহী সম্পাদক আশফাকুল হকও। এভাবেই দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। আর বিশেষত আমাদের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আইনগুলোর সংস্কার না হওয়ায় যথাসময়ে ধর্ষণের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। বিচারহীনতার সংস্কৃতি কেবল একটি জাহেলি সমাজেরই উদাহরণ হতে পারে, কোনো সভ্য সমাজের নয়। সুতরাং, ইসলামের ন্যায্যতার ধারণা, আইন ও বিচারব্যবস্থার আলোকে আমাদের রাষ্ট্রীয় আইন ও বিচারব্যবস্থাকে ঢেলে সাজালে আমরা বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্তির পাশাপাশি নারী ও শিশুদেরও পূর্ণ সুরক্ষা দিতে পারব ইনশাআল্লাহ।
এমআর/এআইএস