শিশু গুলিবিদ্ধের ঘটনা আইয়্যামে জাহেলিয়াতকে হার মানিয়েছে
শিশুর গায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে ঠান্ডা মাথায় গুলি করা জঘন্য ও মানবতাবিরোধী অপরাধ; তাই এসব অপরাধীকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারের পতন হলেও তাদের সৃষ্ট জঞ্জাল আজও রয়ে গেছে। ফলে আমিনার মতো নিষ্পাপ শিশুদের গুলিবিদ্ধ হতে হচ্ছে। যা আইয়্যামে জাহেলিয়াতের নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতাকে হার মানিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
গত ১ এপ্রিল স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার বশিকপুর গ্রামের ৬ বছরের শিশু আমেনা বেগমকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেখার পর এসব কথা বলেন তিনি।
মুহাম্মদ রেজাউল করিম গুলিবিদ্ধ শিশু ও তার পরিবারের সাথে একান্তে কথা বলেন এবং ভিকটিমের শরীর ও স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের সাথেও কথা বলেন এবং আমিনা বেগমের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করেন। তিনি আমিনা বেগমের পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দেন।
বিজ্ঞাপন
সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমকে ড. রেজাউল করিম বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা দেশকে অপরাধ ও অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। পতিত স্বৈরাচারী আমলে অপরাধকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হয়েছে। ফলে হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, গুম, অপহরণ ও গুপ্তহত্যা রাষ্ট্রচারের সাথে একাকার করে ফেলা হয়েছিল। স্বৈরাচারের পতন হলেও তাদের সৃষ্ট জঞ্জাল আজও রয়ে গেছে।
আরও পড়ুন
তিনি আরও বলেন, দেশে সুশাসন ও আইনের শাসনের অভাবেই দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দেশে দুর্নীতি-দুঃশাসন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। নাগরিকের অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের হলেও পতিত স্বৈরাচারি আমলে রাষ্ট্রই মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ফলে দেশে চাঁদাবাজী, দখলবাজী ও সন্ত্রাসী তৎপরতা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। কিন্তু আগস্ট বিপ্লবের পর সে অবস্থার পরিবর্তন হলেও রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার করা এখনো সম্ভব হয়নি। ফলে দেশে এখনো পুরোপুরি শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়নি।
জেইউ/এনএফ