ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান সংঘাত পরিস্থিতি সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। দলটি বলছে, এই সংঘাত-উন্মাদনা ভারত বা পাকিস্তান—কোনো দেশেরই জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে না। বরং উভয় দেশের সাধারণ মানুষ, নারী ও শিশুরাই এর প্রধান শিকার হবে।

বুধবার (৭ মে) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।

বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের বিজেপি সরকার কাশ্মীরে পর্যটকদের হত্যার ঘটনাকে পুঁজি করে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করছে। এর পেছনে রয়েছে আসন্ন রাজ্য ও জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উগ্র হিন্দুত্ববাদী মেরুকরণের কৌশল, যাতে করপোরেট স্বার্থও জড়িত।

সাইফুল হক বলেন, এটা নিশ্চিত যে, সাধারণ মানুষ কোনো যুদ্ধ চায় না। কারণ যেকোনো সংঘাতের শেষ অভিঘাত সাধারণ মানুষের ওপরই এসে পড়ে।

বিবৃতিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি দাবি করেছে, ভারত খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে তাদের নাগরিকদের পুশইন করছে, যা একটি স্পষ্ট উসকানিমূলক তৎপরতা। এদের গুজরাট থেকে ধরে আনা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।

বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে এমন যেকোনো পদক্ষেপ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকতে হবে বলেও বিবৃতিতে জানান সাইফুল হক।

তিনি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা প্রশমনে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এছাড়া সাইফুল হক বলেন, বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে ভূ-রাজনৈতিক কৌশলগত স্বার্থের যে দ্বন্দ্ব চলছে, তা থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশ যেন কোনো পরাশক্তির ‘গুটি’ হয়ে না উঠে।

বিবৃতিতে তিনি জাতীয় ঐক্য দৃঢ় করার জন্য রাজনৈতিক দল ও জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

এমএইচএন/এসএম