গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, বাংলাদেশে অভ্যুত্থান পরবর্তী শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উত্তরণে জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য। এটা ছাড়া জাতি পথ হারাবে। যত দ্রুত সম্ভব বর্তমান অনিশ্চয়তা কাটিয়ে একটা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ তৈরি করতে অবিলম্বে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্যের কোনো বিকল্প নেই।

শুক্রবার (২৩ মে) রাতে এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তারা।

দলটির শীর্ষ দুই নেতা বলেন, বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক বৈধতা হলো অভ্যুত্থানকারী সব রাজনৈতিক শক্তির অনুমোদন ও সমর্থন। ফলে এই ঐক্যের শক্তির ওপর দাঁড়িয়েই একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সংস্কার ও নির্বাচনের পথরেখা তৈরি করতে হবে।

জাতীয় স্বার্থ, জাতীয় সার্বভৌমত্ব ইত্যাদি প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

সাকি ও রুবেল বলেন, একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠাই রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক সব প্রথা, প্রতিষ্ঠান, আইন ইত্যাদির কাজ। জনগণের কাছে সে অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যে জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছে, তা ধরে রাখার চেষ্টা করাই এখন রাজনৈতিক পক্ষগুলোর অগ্রাধিকার হতে হবে।

সংঘাত নয়, বরং এই ঐক্যের পথেই বাংলাদেশ তার নতুন রাজনৈতিক গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে বলে উল্লেখ করে তারা বলেন, আমরা সব দল ও বাংলাদেশের সব নাগরিককে পারস্পরিক দোষারোপের সংস্কৃতি পরিহার করে, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পার্থক্য কমিয়ে আনার এবং পরস্পরের অবস্থানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিচার, সংস্কার, নির্বাচন বিষয়ে একটি জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাই।

এএইচআর/এসএসএইচ