দেশে চলমান পরিস্থিতির কিছুটা ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা মনে করি অর্থবহ আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বর্তমান সমস্যার সন্তোষজনক সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব। 

শনিবার (২৪ মে) সকালে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, একটি দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে এই পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামী চুপ করে থাকতে পারে না। ইতোমধ্যে আপনারা লক্ষ্য করেছেন আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে দলীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় বসেছি। দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। বৈঠক শেষে আমরা বলেছি, সংঘাত এবং কাদা ছোড়াছুড়ির মধ্য দিয়ে জাতিকে আর অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া কোনো অবস্থাতেই সমীচীন হবে না। এ সংস্কৃতির অবসান হওয়া উচিত। এজন্য প্রয়োজন অর্থবহ ডায়ালগ। এই দায়িত্বটা মূলত বর্তমান সরকারকেই নিতে হবে। তাদের এ অর্থবহ ডায়ালগের ব্যবস্থা করে নিতে হবে। সমস্যা যত বড়ই হোক আমরা বিশ্বাস করি আলোচনার মধ্য দিয়ে সন্তোষজনক সমাধানে পৌঁছা সম্ভব। 

তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী তার নিজস্ব অবস্থান থেকে ইতোমধ্যে কতিপয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা নির্বাহী পরিষদের বৈঠক থেকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। 

জামায়াত আমির বলেন, জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা আশা করি সেই বৈঠকে ভালো কিছু বের হয়ে আসবে। অতীতেও আমরা লক্ষ্য করেছি এ ধরনের পরিস্থিতিতে দেশ ও জনগণ যখন মুখোমুখি হয়েছে তখন আলোচনার উদ্যোগও সফল হয়েছে। আমরা আশাবাদী আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধান সম্ভব।

জামায়াতের রাজনীতি দেশ ও জনগণের কল্যাণে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দলীয় স্বার্থকে কখনোই দেশ ও জনগণের স্বার্থের ঊর্ধ্বে দেখি না। আমরা আমাদের দলীয় স্বার্থকে সাজাই দেশ ও জনগণের স্বার্থের আলোকে। জনগণের কল্যাণ ও স্বার্থ যেখানে নিহিত রয়েছে সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই জামায়াতে ইসলামীর সব ধরনের পরিকল্পনা ও কর্মসূচি রচিত হয়ে থাকে।

বর্তমান দেশের এ পরিস্থিতিতেও আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমাদের দলের পক্ষ থেকে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সন্তোষজনক সমাধানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সেই উদ্যোগের কিছু ইতিবাচক কার্যক্রম দেখতে পাচ্ছি। আমরা আশা করি, জাতির মধ্যে যে আশঙ্কা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, সব পক্ষের আন্তরিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে জাতি হিসেবে আমরা একটা সন্তোষজনক সমাধানে পৌঁছতে পারব। 

জেইউ/এমএন