জুলাই মাসে প্রাণ হারানো ও আহত আন্দোলনকারীদের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতেই বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালনা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই ঐক্য প্ল্যাটফর্মের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)-এর আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ।

রোববার (২৫ মে) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে অনুষ্ঠিত 'জুলাই ঐক্য'র প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। 

জুলাইয়ের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে ভারতীয় হস্তক্ষেপ ও আধিপত্যবাদ মোকাবিলার লক্ষ্যেই এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মনে রাখতে হবে, আপনারা শহীদ ও আহতদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছেন। তাই রাষ্ট্র পরিচালনায় তাদের আকাঙ্ক্ষা ও আত্মত্যাগকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র এ জাতির মুক্তির আকাঙ্ক্ষার সনদ হবে। এ ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে। আমরা শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা এবং আহত ও জীবনবাজি রাখা যোদ্ধাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাই।

এ সময় তিনি দাবি করেন, নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার হুমকির বিপরীতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের মধ্য দিয়ে জুলাই যোদ্ধারা দিল্লির আধিপত্যবাদকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। আজ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্লোগান হয়ে দাঁড়িয়েছে-‘দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা ঢাকা।’ মানুষ আর দাসত্ব মেনে নেয় না, তারা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। যদি ফ্যাসিবাদের ছায়া আবারও দেখা যায়, জুলাই যোদ্ধারা জীবন দিতে প্রস্তুত রয়েছে ইনশাআল্লাহ।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি আবু সাদিক কায়েম বলেন, গত ১৬ বছর ধরে খুনি হাসিনা ও তার দোসররা ভারতের প্রেসক্রিপশনে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ ও সংস্কৃতি ধ্বংস করেছে। জামায়াত নেতাদের ফাঁসি, শাপলা চত্বরে গণহত্যা ও কওমি আলেমদের হত্যা সেই শাসনব্যবস্থার চরম নিপীড়নের উদাহরণ।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর ইনসাফ ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার আশা ছিল। কিন্তু কিছু ঠিকাদার তা নষ্ট করেছে। মধ্যবিত্ত শ্রেণি, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, কওমি ও আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্রদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।

আবু সাদিক কায়েম আরও বলেন, নয় মাস পরেও শহীদদের বিচার এবং আহতদের সুচিকিৎসার জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে। এটা সরকারের জন্য চরম লজ্জার। উপদেষ্টারা যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন, তাহলে পদত্যাগ করুন-ছাত্রজনতা দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত আছে।

তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আপনারা যদি শহীদদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি করেন, তাহলে খুনি হাসিনার চেয়েও খারাপ পরিণতি আপনাদের হবে। 

এসএআর/এমএসএ