বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো একটি দীর্ঘদিনের অনিয়ম, জবাবদিহিহীনতা ও জনসেবা বিচ্যুতির শিকার। এই বাস্তবতায় সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা, শৃঙ্খলা ও কর্মদায়িত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক প্রণীত ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত উদ্যোগ বলে আমরা মনে করি।

মঙ্গলবার (২৭ মে) বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মিডিয়া সমন্বয়ক হাসান জুনাইদ পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তারা।

নেতৃদ্বয় বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, একটি সুশাসিত রাষ্ট্রের জন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকতা, যোগ্যতা ও দায়িত্বশীলতা অপরিহার্য। সেই লক্ষ্যে প্রশাসনিক কাঠামোতে কিছু যুগোপযোগী সংস্কার প্রয়োজন ছিল, এবং সরকার সে উদ্যোগ নিয়েছে—যা নীতিগতভাবে ইতিবাচক।

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, তবে একই সঙ্গে আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, রাষ্ট্রের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে একটানা কর্মবিরতি ও অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সচিবালয়ের কর্মক্ষমতা বন্ধ হওয়া মানে পুরো রাষ্ট্রীয় মেশিনারির অঙ্গহানির মতো ঘটনা। 

আন্দোলনরত কর্মকর্তা–কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দলটির শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, আপনারা জনগণের প্রত্যাশা ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিন এবং অচলাবস্থা থেকে সরে এসে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে নিন।

তারা বলেন, একইসঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকেও আমরা আহ্বান জানাই—নিরপেক্ষতা ও সহিষ্ণুতার সঙ্গে উত্থাপিত উদ্বেগগুলো আমলে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছান।

যৌথ বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে আমরা স্পষ্ট করতে চাই— রাষ্ট্রের অগ্রগতির পথে প্রশাসনিক সংস্কার প্রয়োজন, তবে তা হতে হবে অংশগ্রহণমূলক ও বাস্তবসম্মত।

এএইচআর/এমএন