কমিশন গঠন করে কৃষকের ফসলের লাভজনক দাম নিশ্চিতের দাবি
অবিলম্বে কৃষিপণ্য মূল্য কমিশন গঠন করে কৃষকের ফসলের লাভজনক দাম নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন কৃষক নেতারা। তারা বলেন, বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ও গ্রামীণ অর্থনীতি বাঁচাতে কৃষি খাতের বিনিয়োগে সরকারি ও বেসরকারি বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
শনিবার (৩১ মে) বাংলাদেশ কৃষক মজুর সংহতি উদ্যোগে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে ‘কৃষি খাতে বিনিয়োগে সরকারি ও বেসরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রাক বাজেট সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
সেমিনারে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রবীণ কৃষক নেতা দেওয়ান আব্দুর রশীদ নিলু বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষকদের অবদান এখনো অনেক গুরুত্বপূর্ণ হলেও গত ৫৩ বছরে তাদের স্বার্থ রক্ষায় বড় কোনো সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আবারও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কৃষি খাত সংস্কারের যে সুযোগ এসেছে তাকে কাজে লাগাতে হবে।
বিশিষ্ট কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান কৃষক মজুর সংহতির ধারণাপত্রের সবগুলো সুপারিশের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অবদান রয়েছে কৃষি খাতের। বিগত বছরগুলোতে উন্নয়ন পর্যালোচনা করলে দেখা যায় প্রতি বছরই শতকরা ৩ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা বৈশ্বিক গড়ের অনেক বেশি।
বিজ্ঞাপন
সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক বলেন, বহুদিন ধরে কৃষি খাতে ব্যবস্থাগত বদলের লক্ষ্যে সরকারের ভেতরে বাইরে চেষ্টা চলছে। কিন্তু সরকারি ব্যবস্থার অদক্ষতা ও দুর্নীতির কারণে কার্যকরী সংস্কার কাজ করে না। কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, তবে তা বেসরকারি খাতের মাধ্যমেই। কারণ কৃষি খাতের শতকরা ৯০ ভাগ এখন বেসরকারি খাতের হাতে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলিমের পরিচালনায় সেমিনারের শুরুতে কৃষি খাতে বিনিয়োগে বাড়ানোর বিষয়ে সংগঠনের বক্তব্য নিয়ে একটি ধারণাপত্র উত্থাপন করেন যুগ্ম সম্পাদক কৃষক নেতা তৌহিদুর রহমান।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী সমিতির সভাপতি বাচ্চু ভুঁইয়া, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম সবুর, সমাজতান্ত্রিক কৃষক ও ক্ষেতমজুর ফ্রন্টের সভাপতি বজলুর রশিদ ফিরোজ, জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু, জাতীয় কৃষক জোটের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই ইলাহি, প্রাকৃতিক কৃষি আন্দোলনের সংগঠক ইফতেখার আলী, বাংলাদেশ কৃষক মজুর সংহতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল আলম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ।
এএইচআর/এসএসএইচ