বাংলাদেশ এখনো তার কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র ফিরে পায়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, গত ১৭ বছর ধরে দেশে গণতন্ত্রের চর্চা নেই। ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর দেশ একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা ছিল, কিন্তু আমরা সেই পথে হাঁটতে দেখছি না অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে।

রোববার (১ জুন) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জাতীয়তাবাদী চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারী কর্তৃক আয়োজিত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. রফিক বলেন, বাকশাল প্রতিষ্ঠার পর দেশের গণতন্ত্র যখন ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই বাংলাদেশ গণতন্ত্রের পথে হেঁটেছিল। তিনি চাইলেই ক্ষমতার সর্বোচ্চ উপভোগ করতে পারতেন, কিন্তু তা করেননি। ১৯৭৭ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেন তিনি। এজন্যই দেশবাসীর হৃদয়ে আজও তিনি রয়ে গেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য নিজের জীবন উজাড় করে দিয়েছেন। ৯০-এর স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেত্রী ছিলেন তিনি। তিনবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।

তারেক রহমানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ১/১১ এর সময়ে তিনি নির্যাতিত হয়েছেন, তাকে নিয়ে মিডিয়ায় মিথ্যা ট্রায়াল হয়েছে, কিন্তু তিনি দেশকে ভুলে যাননি। জুলাই আন্দোলনে তার নেতৃত্ব আজ ওপেন সিক্রেট। আন্দোলনে রাজপথ থেকে শুরু করে আহতদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য সব ক্ষেত্রেই প্রত্যক্ষভাবে তিনি দেখভাল করেছেন।

এএইচআর/এমজে