সরকার-বিএনপির সমঝোতা রাজনৈতিক সংকট দূর করবে : ইসলামী আন্দোলন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যেকার বৈঠকের পর রাজনৈতিক সংকট দূর হবে বলে মনে করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
তবে ইসলামী আন্দোলন বলছে, একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রের ‘যৌথ বিবৃতি’ প্রদান শোভনীয় নয়। একইসঙ্গে একক বিএনপির মতামতের ভিত্তিতে দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়াও শোভনীয় নয়।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১৩ জুন) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা কাজ করছিল। প্রধান বিরোধীদল বিএনপিসহ একাধিক রাজনৈতিক দল ডিসেম্বর-২৫ এ নির্বাচনের দাবী জানিয়ে আসছিল। প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক এপ্রিলে নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা রাজনীতিতে একটি চাপা উত্তেজনা তৈরি করেছিল।
আজকের বৈঠকে তারেক রহমান ডিসেম্বর থেকে সরে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টাও শর্তসাপেক্ষে তা বিবেচনার কথা বলেছেন। নিজস্ব অবস্থানকে যৌক্তিক কারণে পুনর্বিবেচনা করার এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। উভয় নেতাকে এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বিজ্ঞাপন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র বলেন, সংস্কার, বিচার ও জুলাই সনদ নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে নীতিগত সমর্থন পাওয়া গেছে আজকের বৈঠক থেকে। এটা স্বৈরতন্ত্রমুক্ত আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণের পথকে মসৃণ করবে বলে বিশ্বাস করে ইসলামী আন্দোলন।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, আজকের পরে রাজনীতিতে বিদ্যমান উত্তেজনা কেটে যাবে, অনিশ্চয়তা দূর হবে এবং বৃহত্তর ঐকমত্য তৈরি হবে।
আরও পড়ুন
শীর্ষ দুই নেতার বৈঠকের পরে প্রেস বিফিংয়ে উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের শব্দ প্রয়োগকে বিস্ময়কর আখ্যায়িত করে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মাদ ইউনূস বাংলাদেশের সরকার প্রধান। তারেক রহমান একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপির অবস্থান মাথায় রেখেও একথা সত্য যে, তারেক রহমান দেশের রাজনীতির একক প্রতিনিধিত্ব করেন না। তাদের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ হলেও আক্ষরিক অর্থে এটা দেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে একজন রাজনৈতিক নেতার সংলাপ। এই সংলাপের পরে প্রেস বিফিংয়ে বারবার ‘যৌথ বিবৃতি’ বলা বিস্ময়কর।
একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রের ‘যৌথ বিবৃতি’ প্রদান শোভনীয় নয়। একইসঙ্গে একক বিএনপির মতামতের ভিত্তিতে দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়াও শোভনীয় নয়।
জেইউ/এমএন