ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ
জাতীয় ঐক্য বিনির্মাণে জাতি সরকারের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করে
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জাতির প্রধান প্রত্যাশা ছিল সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া। অথচ তারা জনগণের আকাঙ্ক্ষা না বুঝে একটি নির্দিষ্ট দলের প্রতি আনুগত্যশীল হয়ে পড়েছেন।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল রানা মিঠুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
জাতীয় ঐক্য বিনির্মাণে জাতি আপনাদের কাছ থেকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করে উল্লেখ করে মাসুদ বলেন, একটি নির্দিষ্ট দলের প্রতি আনুগত্যশীল হয়ে পড়া ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লবের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, জামায়াত শুধুমাত্র ভোটের রাজনীতি করে না বরং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে জনগণের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করে। আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের আন্দোলন করে।
ক্ষমতা দখল করা জামায়াতে ইসলামী লক্ষ্য নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষমতা দখলের জন্য প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলোর মতো জামায়াত কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ বা অন্যায়কারীকে লালন-পালন ও প্রশয় দেয় না। জামায়াতে ইসলামী সৎ, যোগ্য ও আদর্শিক মানুষ গঠনের মাধ্যমে মসজিদের ইমাম থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনার যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বন্ধু সংগঠনের কেউ কেউ নির্বাচনের আগেই নিজেদের ২৮০ আসন পাবে বলে দাবি করছেন। সংসদে কোনো রাজনৈতিক দল কোন অবস্থানে থাকবে সেটি জনগণের ভোটেই নির্ধারিত হবে। তবে যারা ভোটের আগেই নিজেদের ২৮০ আসন পেয়ে এককভাবে সরকার গঠন করবে বলে দাবি করছে, তাদের এমন দাবি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে আশঙ্কা তৈরি করছে। জাতি শঙ্কিত, তারা ভোটের দিন নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করতে পারে। তিনি ক্ষমতার জন্য পাগল না হয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে দেশ গঠনে মনোযোগী হতে উদাত্ত আহ্বান জানান।
শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি আতিকুর রহমান বলেন, ভোটের রাজনীতি করার কারণেই এদেশের শ্রমিকেরা বারবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছে এবং ধোঁকা খেয়েছে। তারা শ্রমিকদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে ক্ষমতায় গিয়ে শ্রমিকদের শোষণ করেছে। শোষণমুক্ত সমাজ গঠন করতে হলে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে শ্রমিকদের এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলন (আইএলসি) এর ১১৩তম অধিবেশন শেষ করে দেশে আসায় বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমানকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়।
জেইউ/এআইএস