জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে যোগ দিতে আসা প্রতিটি নেতাকর্মী দুপুরের খাবার সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন। কারো হাতে বিরিয়ানি কিংবা ডিম খিচুড়ির প্যাকেট রয়েছে। প্রত্যেক নেতাকর্মী হাতে করে ছাতি, রুটি ও একাধিক পানির বোতল নিয়ে এসেছেন। তবে প্রতিটি মোড়ে মোড়ে স্বেচ্ছাসেবকরা পানির ব্যবস্থা রেখেছেন।

সমাবেশস্থলে দেখা যায়, সারা দেশ থেকে আসা নেতাকর্মীদের ঢল পড়েছে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। প্রিয় দলের সমাবেশে যোগ দিতে নিজ উদ্যোগে ব্যবস্থা করছেন সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার। প্রতিটি নেতাকর্মী রান্না করা খাবারের পাশাপাশি শুকনো খাবার নিয়ে এসেছেন। কারো হাতে বিরিয়ানি কিংবা ডিম খিচুড়ি প্যাকেট, রুটি। একাধিক পানির বোতল সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে। আবার কেউ কেউ বিস্কুটের প্যাকেটও নিয়ে আসছেন। 

এদিকে সকাল পৌনে ১০টার দিকেই কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে জাতীয় সমাবেশের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে, দলটির দাবি এটি হবে তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় একক রাজনৈতিক জনসমাবেশ। প্রায় এক মাসের প্রস্তুতি শেষে আয়োজিত এই সমাবেশে ১০ লাখের বেশি মানুষের উপস্থিতির প্রত্যাশা করছে দলটি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এর আগে বিএনপির সঙ্গে যৌথভাবে জামায়াতের অংশগ্রহণ থাকলেও এককভাবে এটি তাদের প্রথম বড় জনসমাবেশ। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আয়োজিত এই সমাবেশ থেকে দলটি ‘জাতীয় ঐক্য’ এবং ‘কল্যাণ রাষ্ট্র’ গঠনের আহ্বান জানাবে বলে জানা গেছে। জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন এবং সাত দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একটি ঐক্যের ডাক দেবেন।

নিরাপত্তা ও জনসেবার অংশ হিসেবে সমাবেশস্থলে রাখা হয়েছে পাঁচ শতাধিক অস্থায়ী টয়লেট, এক হাজার পানির কল, ১৫টি মেডিকেল বুথ, ১৫টি পার্কিং স্পট এবং হাজারো চেয়ার। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কাজ করছেন প্রায় ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। রাজধানীজুড়ে ৪০০টির বেশি মাইক বসানো হয়েছে এবং ৫০টিরও বেশি জায়ান্ট স্ক্রিন স্থাপন করা হয়েছেন।

এই সমাবেশে ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে বাস, ট্রেন, লঞ্চযোগে হাজার হাজার নেতাকর্মীর আগমন ঘটছে। যানজট বা সাময়িক ভোগান্তির জন্য নাগরিকদের কাছে আগাম দুঃখপ্রকাশ করেছে দলটি।

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রথমবারের মতো এককভাবে জাতীয় সমাবেশ করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এই সমাবেশে ১০ লাখের বেশি মানুষের অংশগ্রহণের প্রত্যাশা করছে দলটি। সমাবেশ থেকে ‘জাতীয় ঐক্য’ ও ‘কল্যাণ রাষ্ট্র’ গঠনের ডাক দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

এমএসআই/এমএ