ভ্যাপসা গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে হাজার হাজার নেতাকর্মী রমনা পার্কে গাছের নিচে আশ্রয় নিচ্ছেন। কেউ কেউ বসে আছেন, আবার কেউ শুয়ে পড়েছেন। হাতের কাছে যা পাচ্ছেন তা দিয়েই বাতাস করছেন।  

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে আসা নেতারা মাঠে জায়গা না পেয়ে রমনা পার্কে আশ্রয় নিয়েছেন। 

সরেজমিনে দেখা যায়, জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের মধ্যে গরমের কারণে অস্বস্তি দেখা যায়। কেউ কেউ গরমে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন। রমনা পার্কে প্রতিটি গাছের তলায় ছোট ছোট গ্রুপ করে বসে কিংবা শুয়ে থাকতে দেখা যায়। কেউ কেউ পাঞ্জাবি বা গেঞ্জি খুলে বসে আছেন শরীর শীতল করতে। ভ্যাপসা গরম থেকে বাঁচতে কাউকে কাউকে মাথায় ও গায়ে পানি দিতে দেখা যায়।  

এদিকে সকাল পৌনে ১০টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হলেও তার আগেই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। 

জামায়াতে ইসলামীর দাবি এটি হবে তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় একক রাজনৈতিক জনসমাবেশ। প্রায় এক মাসের প্রস্তুতি শেষে আয়োজিত এই সমাবেশে ১০ লাখের বেশি মানুষের উপস্থিতির প্রত্যাশা করছে দলটি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এর আগে বিএনপির সঙ্গে যৌথভাবে জামায়াতের অংশগ্রহণ থাকলেও এককভাবে এটি তাদের প্রথম বড় জনসমাবেশ। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আয়োজিত এই সমাবেশ থেকে দলটি ‘জাতীয় ঐক্য’ এবং ‘কল্যাণ রাষ্ট্র’ গঠনের আহ্বান জানাবে বলে জানা গেছে। আমির ডা. শফিকুর রহমান সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন এবং সাত দফা দাবির প্রেক্ষিতে একটি ঐক্যের ডাক দেবেন।

নিরাপত্তা ও জনসেবার অংশ হিসেবে সমাবেশস্থলে রাখা হয়েছে পাঁচ শতাধিক অস্থায়ী টয়লেট, এক হাজার পানির কল, ১৫টি মেডিকেল বুথ, ১৫টি পার্কিং স্পট এবং হাজারো চেয়ার। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে প্রায় ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। রাজধানীজুড়ে ৪০০টির বেশি মাইক বসানো হয়েছে এবং ৫০টিরও বেশি জায়ান্ট স্ক্রিন স্থাপন করা হয়েছে।

এই সমাবেশে ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে বাস, ট্রেন, লঞ্চযোগে হাজার হাজার নেতাকর্মীর আগমন ঘটছে। যানজট বা সাময়িক ভোগান্তির জন্য নাগরিকদের কাছে আগাম দুঃখপ্রকাশ করেছে দলটি।

এমএসআই/এনএফ