দেশের ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ পিআর বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির পক্ষে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

ড. ইউনূস সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা গণভোট দেন। ৯০ শতাংশের ওপরে মানুষ পিআরের পক্ষে। সুতরাং তাদের বিপক্ষে গিয়ে কোনো তামাশার নির্বাচন বাংলার জনগণ দেখতে চায় না।

বুধবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজয়নগরে ‘জুলাই জাতীয় ঘোষণাপত্র’ ও ‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এর আইনি স্বীকৃতির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেলিম উদ্দিন বলেন, জনগণের প্রকৃত সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চাইলে আগে জনগণের মতামতকে মূল্য দিতে হবে। পিআরের বিপক্ষে গিয়ে কোনো তামাশার নির্বাচন বাংলার মানুষ দেখতে চায় না। নির্বাচনের আগে অবশ্যই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে, আর যারা হুমকি দিয়ে বলছে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিলে কেউ নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারবে না– তাদের নির্বাচন অযোগ্য ঘোষণা করে শাস্তি দিতে হবে।

তিনি নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বলেন, আরপিও সংশোধন করতে হবে, এখন থেকেই খুঁজে বের করতে হবে কারা বাড়াবাড়ি করছে, কারা ষড়যন্ত্র করছে। আওয়ামী লীগের লোক বিএনপিতে ঢুকে যদি অতীত রাজনীতি করতে চায়, তবে হাসিনার মতো তারাও অতীত হয়ে যাবে।

জামায়াতের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, গত ১২ মাসে মানবিক সেবা ও দেশ গঠনে কাজ করেছে জামায়াত। জনগণ মূল্যায়ন করলে আগামী দিনে জামায়াতকেই ক্ষমতায় পাঠাবে। অথচ ঐকমত্যের নামে এতদিন খাওয়া-দাওয়া করে এখন বলা হচ্ছে, সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার ক্ষমতা নেই– এই তামাশা চলবে না।

তিনি দাবি করেন, অবিলম্বে অধ্যাদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের প্রতিটি ধারাকে আইনে রূপান্তরিত করে তার ভিত্তিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। নতুবা জনগণ রাজপথে নামলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। 

সেলিম উদ্দিন বলেন, দুই-একটা দলের আন্দোলন দেখেই যারা কাঁপছে, তারা কল্পনাও করতে পারবে না– জামায়াতের নেতৃত্বে দেশের অধিকাংশ মানুষ রাজপথে নামলে কী হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচনবিরোধী নই। বাংলাদেশে সবার আগে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে জামায়াত। এখন নির্বাচন দিন, শুধু গ্যারান্টি দিন কোনো কারচুপি হবে না, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে ঘাটতি থাকবে না– আগামীকালই নির্বাচন হলে আমরা রাজি। কিন্তু হাসিনা মার্কা নির্বাচন করে দেশকে ভারতের তাবেদার বানানোর ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না। সঠিক ভোট ছাড়া শক্তিশালী সরকার আসবে না, অর্থনীতি ভেঙে পড়বে, রাজনীতিতে নতুন অশনি সংকেত দেখা দেবে– এটা আমরা হতে দিতে পারি না।

টিআই/বিআরইউ