প্রধান উপদেষ্টাকে আরও শক্তিশালী হওয়ার আহ্বান জানাই : জাহিদ হোসেন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মান বজায় রেখে আরও শক্তিশালী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরামের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
জাহিদ হোসেন বলেন, রাজনৈতিক আলোচনায় ‘বয়ান’ ও ‘বন্দোবস্ত’-এর মতো নতুন শব্দ এবং ব্যাপক দুর্নীতি আমাদের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করছে। শাহবাগে বা অন্য কোথাও যখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতেও আক্রমণ বা সহিংসতা ঘটে, তখন জবাবদিহিতার অভাব আমাদের হতাশ করে।
তিনি আরও বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং সব রাজনৈতিক দলের। মুক্তভাবে কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করাও জরুরি। আমরা ডক্টর ইউনূসকে তার সম্মান বজায় রেখে আরও শক্তিশালী হতে আহ্বান জানাই।
বিজ্ঞাপন
সভায় গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, ঐক্যের বিকল্প নেই। বিগত সরকার দলীয়করণের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সমূলে ধ্বংস করে রেখে গেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সংস্কারসহ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক উত্তরণ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব।
কামাল হোসেন আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে, একটি অশুভ শক্তি বিগত আমলের মতোই সর্বত্র চাঁদাবাজি, দখলবাজি, আধিপত্য বিস্তার করেছে। ফলে সন্ত্রাস, সংঘর্ষ ও মব সংস্কৃতির এক নতুন প্রেক্ষাপট বিরাজ করছে। এই অশুভ শক্তিকে দমন করতে সরকার ব্যর্থ হলে দেশে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে, যা কারো কাম্য নয়।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) প্রধান উপদেষ্টা খালেকুজ্জামান বলেন, অতীতে আমরা যে অতি নিয়ন্ত্রিত স্বৈরাচার দেখেছি, এখন তার জায়গায় চলছে অনিয়ন্ত্রিত স্বেচ্ছাচার। আগে এক গোষ্ঠীর লুটপাট ছিল, এখন চলছে বহু গোষ্ঠীর লুটপাট। আগে ছিল ফ্যাসিবাদী নিষ্ঠুরতা, এখন দেখছি নৃশংস হিংস্রতা। কথিত আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসার পাশাপাশি এখন মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার ও কলঙ্কিত করার অপচেষ্টা চলছে।
গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, দলের উচ্চতর পরিষদ সদস্য সুরাইয়া খানম প্রমুখ।
ওএফএ/এমএন