বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির ড. অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন বলেছেন, পিআর পদ্ধতি এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ব্যতীত প্রহসনের নাটকীয় নির্বাচন জনগণ প্রতিহত করবে।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মতিঝিল পূর্ব থানা আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করে নির্দিষ্ট একটি দলকে প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচন করা হলে এটি হবে নাটকীয় নির্বাচন। বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন না ঘটলে, মানুষ দাবি আদায়ে জীবন দিতেও দ্বিধা করে না। দেশের ৭১ শতাংশ জনগণ চায় পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের সেই আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করে একটি দলের প্রতিনিধিত্ব মূলক আচরণ করছে। সরকারের কর্মকাণ্ডে জনমনে সংশয় তৈরি হচ্ছে। এই সংশয় দূর করতে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থান জাতির সামনে স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়ে হেলাল উদ্দিন বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি দলের ভাষায় কথায় কথায় সাংবিধানিক সংকটের দোহাই দিচ্ছে। 

তিনি বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিলে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বৈধতা নিশ্চিত হবে না। যারা এ সরকারকে সাংবিধানিক সংকটের ভয় দেখাচ্ছে, তারা ক্ষমতায় বসলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অসাংবিধানিক সরকার হিসেবে ঘোষণা করবে।

হেলাল উদ্দিন বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ও জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি জামায়াতে ইসলামীর দলীয় দাবি নয়, এই দাবি গণমানুষের। যার প্রমাণ ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংস্থার জরিপে উঠে এসেছে। জরিপে দেখা গেছে, দেশের ৭১ শতাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতিতে সংসদ নির্বাচন চায়। একটি মাত্র দল ছাড়া অন্য সব রাজনৈতিক দলও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়। তাহলে সরকার কার স্বার্থে পিআর পদ্ধতি এড়িয়ে গিয়ে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার নির্বাচনের আয়োজন করতে যাচ্ছে, সেটি সরকারকে জাতির সামনে স্পষ্ট করতে তিনি আহ্বান জানান।

সরকার যদি ফ্যাসিবাদের উত্থানে সহযোগিতা না করে, তাহলে অনতিবিলম্বে ‘পিআর পদ্ধতি এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি’ দিতে গণভোটের আয়োজন করতে হবে। নতুবা জনগণ রাজপথে নেমে এলে সব দায় সরকারকে বহন করতে হবে। 

এমএম/এমএন