জামায়াত নেতা কামাল হোসেন
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন না হলে আবারও একদলীয় শাসন ফিরে আসবে
পিআর (প্রপোশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচন না হলে আবারও একদলীয় শাসন ফিরে আসবে, আর তাতে ফ্যাসিস্ট শক্তির উত্থান ঘটবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও ঢাকা-৫ আসনের মনোনীত এমপি প্রার্থী মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর কোনাপাড়া থানা জামায়াতের উদ্যোগে মোমেনবাগ ও বাগিচা এলাকায় আয়োজিত নির্বাচনী উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
কামাল হোসেন বলেন, পিআর পদ্ধতির নির্বাচনই একমাত্র পথ, যা মনোনয়ন বাণিজ্য, পেশিশক্তির ব্যবহার ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করতে পারে। এতে নতুন ধারার রাজনীতি বিকশিত হবে এবং কল্যাণরাষ্ট্রের ভিত্তি তৈরি হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই সব ভোটারের ভোট যেন মূল্যায়িত হয়। পিআর পদ্ধতি ছাড়া জনগণের প্রকৃত মতামত সংসদে প্রতিফলিত হবে না। তখন ফ্যাসিবাদী শাসন, একনায়কতন্ত্র ও দমননীতি আবারও মাথা তুলবে, যা জাতি আর দেখতে চায় না।
বিজ্ঞাপন
জামায়াতের ঢাকা-৫ আসনের প্রার্থী এসময় জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি, ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতনের বিচার, এবং ১৪ দল ও জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, এই ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হবে না, আর ফ্যাসিবাদ চিরস্থায়ীভাবে রয়ে যাবে।
জনসভায় উপস্থিত এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অতীতে জনপ্রতিনিধিরা জনগণের নামে ভোট নিয়ে নিজেদের, পরিবারের আর দলের স্বার্থে কাজ করেছে। উন্নয়নের নামে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করেছে, বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। এখন সেই দলই আবার জনগণকে ধোঁকা দিতে চাইছে।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, যে দল স্বাধীনতার পর ১৪ বছর ক্ষমতায় থেকে দেশকে পাঁচ বছর ধরে দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছে, তারা আবার ক্ষমতায় গেলে কী করবে? তারা ক্ষমতায় বসে দেশকে দেউলিয়া করে দেবে। ইতোমধ্যেই তাদের নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজি, লুটপাট, হত্যা ও ধর্ষণের মাধ্যমে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছে।
তিনি আশ্বাস দেন, “জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় এলে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিক সমান অধিকার, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা পাবে। রাষ্ট্র প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে এবং বৈষম্যহীন, মানবিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।”
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ও কোনাপাড়া থানা আমির আকতারুজ্জামান চয়নের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি মাওলানা ওমর ফারুক, ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ইমাম হোসেন মিরাজ, থানা কর্মপরিষদ সদস্য খন্দকার সামদানী, মাস্টার তারিকুল ইসলাম, মাওলানা শরীফুল ইসলাম, মাওলানা মীর আল আমিন, ইঞ্জিনিয়ার ইমামুল হক, মাস্টার নাসির উদ্দিন, যুব ওয়ার্ড সভাপতি মনজিল মাহমুদ ও মাওলানা মাসুম বিল্লাহসহ স্থানীয় নেতারা।
টিআই/বিআরইউ