ঢাকা-১৪ আসনে নির্বাচিত হলে দেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতকে নতুনভাবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার আহমেদ বিন কাশেম আরমান।

তিনি বলেন, জনগণ যদি আমাদের ওপর আস্থা রাখেন, তাহলে সরকারিভাবে সবাইকে আমরা চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করব ইনশাআল্লাহ। শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে, যাতে নতুন প্রজন্ম জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য তৈরি থাকতে পারে।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুরে নির্বাচনী গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ব্যারিস্টার আহমেদ বিন কাশেম এসব প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, জনগণ যদি আমাদের ওপর আস্থা রাখেন, তাহলে সরকারিভাবে সবাইকে আমরা চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করব ইনশাআল্লাহ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমাদের থাকবে শিক্ষাব্যবস্থা। শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে, যাতে নতুন প্রজন্ম জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য তৈরি থাকতে পারে ইনশাআল্লাহ।

ব্যারিস্টার আরমান বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পরিবর্তন করার যাত্রা শুরু করেছে এবং আমরা জনগণকে আহ্বান জানাই– আমরা যেই বিপ্লবের সূচনা করতে চাই, একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই, এর জন্য সবাই আমাদের সাথে যেন অংশগ্রহণ করেন। ছাত্র-ছাত্রী, পুরুষ, মহিলা– সবাইকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, আসুন আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে নতুন বাংলাদেশ গড়ব। আমাদের আঞ্চলিকতা ভিন্ন হতে পারে, আমাদের মতাদর্শ ভিন্ন হতে পারে, আমাদের ধর্ম ভিন্ন হতে পারে কিন্তু দেশ আমাদের একটি। আসুন সবাই মিলে একসাথে নতুন বাংলাদেশের জন্য কাজ করি– এটাই ছিল আজকের আমাদের বার্তা।

আপনি তো দীর্ঘদিন ধরে এই যে প্রোগ্রাম করছেন, ঢাকা-১৪ আসনের ভোটারদের কাছে কতটুকু যেতে পেরেছেন– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, আলহামদুলিল্লাহ ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। সবচেয়ে বেশি সাড়া পাচ্ছি নারী ভোটারদের কাছ থেকে, এরপর তরুণদের কাছ থেকে, এরপর শ্রমজীবী মানুষদের কাছ থেকে। সবার কাছে বার্তা একটাই– এতগুলো শাহাদাতের বিনিময়ে যে আমরা নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি, এই স্বাধীনতা শুধু একটি নির্বাচনের মাধ্যমে শেষ নয়। এর মাধ্যমে একটি নতুন বাংলাদেশে যেতে আমরা চাই। আমরা দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওপর মানুষজন আস্থা রাখছে, তারা বিশ্বাস করেন জামায়াতে ইসলামীর হাত দিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ সম্ভব, একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন সম্ভব। এজন্য আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি এবং ইনশাআল্লাহ আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একটি বিপ্লব সাধন করব।

জামায়াতের নেতৃত্বের কাঠামো নিয়ে এই প্রার্থী বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ সৎ ও নিষ্ঠাবান। তারা কোনো ধরনের চাঁদাবাজি বা সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত নন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভেতরে কোনো পরিবারতন্ত্র নেই, গ্রুপিং নেই। আমরা সবাই এক ও অভিন্ন। সবচেয়ে সুশৃঙ্খল এবং সবচেয়ে নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আমরা দেখছি জনসাধারণ আকৃষ্ট অনুভব করছেন এবং সবাই বুঝতে পারছেন– যদি নিষ্ঠার সাথে এই সংগঠনের সাথে কেউ জড়িত হন, তাহলে সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাওয়া সম্ভব। কোনো দলীয় পরিচয় দরকার নেই, কোনো লবিং বা তদবিরের দরকার নেই– শুধু নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার মাধ্যমেই তারা এই সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারবেন এবং নেতৃত্বের ধাপে উপরে উঠতে পারবেন।

ঢাকা-১৪ আসনের সমস্যার দিক তুলে ধরে ব্যারিস্টার আরমান বলেন, ঢাকা-১৪ আসনে আসলে সবচেয়ে বড় সমস্যা আইনশৃঙ্খলা। এই এলাকাজুড়ে মাদকের ব্যাপক প্রচলন দেখতে পাচ্ছি। তরুণ সমাজ মাদকের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ছে। আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে মসজিদ কমিটি, পারিবারিক সমিতি, শিক্ষকদের সাথে নিয়ে একটি ব্যাপক সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলব, যাতে মাদকের ব্যাপারে সচেতনতা গড়ে উঠতে পারে। সবাইকে নিয়ে আমরা নিশ্চিত করব আমাদের তরুণ সমাজ যেন মাদক নামক এই অভিশাপ থেকে বেঁচে থাকতে পারে।

নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে তিনি বলেন, কেউ কেউ বলছে নির্বাচন হবে ফেব্রুয়ারিতে, আবার কেউ বলছে হবে না। কোনো শঙ্কা দেখতে পাচ্ছি না। তবে এখন পর্যন্ত প্রফেসর ইউনূস সাহেব ঘোষণা দিয়েছেন ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবেই, আমরা তার জন্য তৈরি। তবে আমরা আশা করি, আমাদের দাবি– যে গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদকে আইনি রূপ দেওয়া হবে– তা নভেম্বরের মধ্যে হওয়া উচিত এবং সম্ভব। এরপর যদি একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা যায় এবং নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করে, তাহলে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হওয়া উচিত। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তৈরি আছে ইনশাআল্লাহ।

টিআই/এসএসএইচ