জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং আরপিওর সংশোধিত প্রস্তাব বাস্তবায়ন থেকে সরে এলে লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হওয়া বলে প্রতীয়মান হবে বলে মনে করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

তিনি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করা হবে, সে আদেশের কনটেন্ট কি হবে? টেক্সট কি হবে তার কার্যকর্তার জায়গাগুলো কি হবে? সেটি পরিষ্কার করা দরকার। যদি আদেশের বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা না থাকে, তাহলে শুধুমাত্র গণভোট আমাদের সংস্কারের বাস্তবায়নকে সিকিউর করতে পারবে না। এই কারণে আমরা আদেশের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে পরিপূর্ণভাবে আশ্বস্ত হয়ে তারপরেই গণভোট এবং স্বাক্ষরের মতো বিষয়গুলোতে অগ্রসর হতে চাই।
 
আরপিও তে যে সংশোধনীর বিষয়গুলো নিয়ে আসা হয়েছে, এগুলোকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা খেয়াল করেছি যে আরপিও তে সংশোধনী আনার পরে বিএনপি তাদের আগের বক্তব্য থেকে সরে এসে, সে আরপিও সংশোধনীকে তারা বাতিল করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে দরখাস্ত দেবে বলে জানিয়েছে। কিন্তু আইন উপদেষ্টা এই প্রক্রিয়ার অংশ নন।

আখতার বলেন, আইন উপদেষ্টার কাছে দরখাস্ত দিয়ে আরপিও সংশোধনীকে আটকে দেওয়ার যে মানসিকতার কথা বলা হচ্ছে, তাতে করে মনে হয় সরকার কোনো বিশেষ উপদেষ্টার মধ্য থেকে কারো কারো সঙ্গে কোনো কোনো দলের সম্পর্কের জায়গা থেকে সেই ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা থেকে তারা কোনো একটা বিষয়কে বাস্তবায়ন করতে চান। যেটাকে আমরা ইনঅ্যাপ্রোপ্রিয়েট মনে করি।

‘একই সঙ্গে এটাও মনে হয়, যদি কোনো দলের কারণে সরকার এই সংশোধনী প্রস্তাবনাগুলো থেকে সরে আসে তাহলে আমাদের কাছে আবারও প্রতীয়মান হবে যে, সরকার লন্ডনে যে বৈঠক করেছিল তার ধারাবাহিকতায় সেভাবেই তারা ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর, এটা কোনোভাবেই জাতির জন্য কোনো সুস্থ প্রক্রিয়া হতে পারে না,’ বলেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার।

এমএসআই/জেডএস