সিলেট বাসদ অফিসে ব্লক রেইড দিয়ে রিকশা শ্রমিকসহ ২২ নেতাকর্মী এবং সিপিবি জেলা নেতা এড. আনোয়ার হোসেন সুমনের গ্রেপ্তারে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)

শনিবার (১ নভেম্বর) এক বার্তায় দলের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনে সারাদেশের মানুষ উদ্বিগ্ন ছিল।

তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন তথা বাক, ব্যক্তি স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না। ঘরে-বাইরে মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতো। সেই ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের কবল থেকে মুক্তির জন্য দেশের আপামর ছাত্র, শ্রমিক জনতা একত্রিতভাবে গত বছর জুলাই-আগস্ট জীবন বাজি রেখে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের পতন ও দেশ ত্যাগে বাধ্য করেছিল। 

বজলুর রশীদ বলেন, মানুষ আশা করেছিল ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের পতনের পর একটু স্বাভাবিক জীবন যাপন করবে। দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে, কর্মসংস্থান হবে, শ্রমিক তার ন্যায্য মজুরি পাবে, দেশে পুলিশি রাষ্ট্রের পরিবর্তে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু অভ্যুত্থানের সময় ফ্যাসিবাদী হাসিনার নিপীড়নের সময়ে জীবন বাজি রেখে যে শ্রমজীবী মানুষ জীবন রক্ষার্থে রিকশা ও ব্যাটারি চালিত রিকশাকে অ্যাম্বুলেন্স বানিয়েছিল; হাসিনা শাহীর পতনের পর সেই রিকশা ও ব্যাটারি চালিত রিকশা শ্রমিকরাই সব চেয়ে বেশি হামলা-মামলার শিকার হয়েছে। 

তিনি বলেন, বিনা বিচারে মানুষ গ্রেপ্তার হচ্ছে, জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের বিপরীতে দাঁড়িয়ে দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করে চলেছে। মানুষের মতপ্রকাশের, চলাফেরা করার স্বাধীনতা বলতে কিছুই থাকছে না।

তিনি আরো বলেন, আজ সকালে বিনা উসকানীতে সিলেট জেলা বাসদ কার্যালয়ে অতর্কিতে আক্রমণ করে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান, ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক বেলাল, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর শাখার সহ-সভাপতি মন্জু, মহানগর শাখার যুগ্ম সম্পাদক মাহফুজসহ ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে রিকশা আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে গতকাল রাতে বিনা ওয়ারেন্টে সিলেট জেলা সিপিবি নেতা অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমনকে তার নিজ বাস ভবন থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। বিভিন্ন রিকশা গ্যারেজ থেকে আরও ১৫ জন রিকশা চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বার্তায় অবিলম্বে সিপিবির নেতা আনেয়ার হোসেন সহ বাসদ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানানো হয়।

ওএফএ/বিআরইউ