রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্রের সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্যে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছে, যা গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির প্রধান সমন্বয়ক মজিবুর রহমান মঞ্জু।

তিনি বলেন, এতো রক্ত, এতো জীবন উৎসর্গের পরও আমরা রাষ্ট্রের কাঠামো পরিবর্তন করতে পারিনি। এ অবস্থায় সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর দিকে চেয়ে না থেকে রাষ্ট্রকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে হবে। জনগণ রাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এবি স্বেচ্ছাসেবক পার্টির আহ্বায়ক কমিটি গঠন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংগঠক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. ওহাব মিনার। বক্তব্য রাখেন, ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন রানা, আনোয়ার সাদাত টুটুল, এবিএম খালিদ হাসান, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর) আব্দুল বাসেত মারজান, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক সুলতানা রাজিয়া প্রমুখ।

সভায় সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. ওহাব মিনারের ঘোষণায় কেফায়েত হোসাইন তানভীরকে আহ্বায়ক ও তোফাজ্জল হোসাইন রমিজকে সদস্য সচিব করে ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট এবি স্বেচ্ছাসেবক পার্টির আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়।

সংগঠক সমাবেশে মজিবুর রহমান মঞ্জু আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে দ্বিচারিতা পরিহার করতে হবে। বড় দলগুলো ভেতরে এক কথা বলে, বাইরে এসে আরেক কথা বলে। এতে জনগণ বিভ্রান্ত হচ্ছে। বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে ইগো পরিহার করে রাষ্ট্রকে রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এইতো কয়দিন আগেও আমরা একসাথে জেল খেটেছি, নির্যাতিত হয়েছি,এতো দ্রুত কেন আমরা তা ভুলে যাচ্ছি?

তিনি বলেন, আমরা অধিকারভিত্তিক সমস্যা সমাধানের রাজনীতি করছি,কোনো ব্যক্তি বা মতবাদকেন্দ্রিক রাজনীতি নয়। এবি পার্টি ইতোমধ্যে ২০-২২টি সমস্যা চিহ্নিত করে ইস্যুভিত্তিক রাজনীতির পথে অগ্রসর হয়েছে। এবি স্বেচ্ছাসেবক পার্টি দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়বে,এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ডা. ওহাব মিনার বলেন, আজকের দিনটি এবি পার্টির ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। আমরা আজ যে ‘স্বেচ্ছাসেবক পার্টি’ গঠন করছি, এটি কেবল একটি সাংগঠনিক ইউনিট নয়, এটি আমাদের আদর্শ, দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেমের জীবন্ত প্রতিফলন। তরুণ ও উদ্যমী কর্মীরাই সংগঠনের প্রাণশক্তি, তাদের নিয়েই আমরা মাঠ পর্যায়ে একটি শক্তিশালী ও সেবামূলক সংগঠন গড়ে তুলব।

তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সদস্যরা হোন এবি পার্টির মুখপাত্র, মানুষের সেবায় অগ্রণী সৈনিক। দুর্যোগে, নির্বাচনে, সামাজিক উদ্যোগে, ন্যায় ও সত্যের আন্দোলনে আপনারাই থাকবেন সামনের সারিতে। আজকের এই সূচনা আমাদের অঙ্গীকার- আমরা সেবায়, সততায় ও ত্যাগে নতুন রাজনীতির দৃষ্টান্ত গড়ব। আমরা হবো জনগণের পার্টি, জনগণের স্বেচ্ছাসেবক।

জেইউ/এমএসএ