গেল কিছুদিন ধরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ভিড় থাকলেও আজ নেতাকর্মীদের উপস্থিতি নেই। নেতাকর্মীদের ভিড় না করতে দলটির পক্ষ থেকে বারবার বলা হলেও তারা শুনছিল না। এতে করে হাসপাতালে আসা অন্য রোগী, স্বজনদের সমস্যা হচ্ছিল। সব দিক বিবেচনা করে আজ আর হাসপাতালের সামনে ভিড় করেনি দলটির নেতাকর্মীরা।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) বসুন্ধরায় এভার কেয়ার হাসপাতালের সামনে সকাল থেকেই নেতাকর্মীদের ভিড় করতে দেখা যায়নি। নেতাকর্মীদের উপস্থিতি না থাকলেও নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত আছেন।

গত ১৩ নভেম্বরের থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ভর্তি আছেন। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার ফুসফুসে ইনফেকশন ধরা পড়ায় তার অবস্থা সংকটময় বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়। পরে খালেদা জিয়াকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) নিয়ে চিকিৎসকরা নিবিড়ভাবে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

প্রতিদিন এখানে সংবাদ সংগ্রহ করতে আসা বেশ কয়জন সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, প্রতিদিন হাসপাতালের সামনে অসংখ্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়ে ভিড় করে রাখতো। তবে সেই তুলনায় আজ হাসপাতালের সামনে, আশপাশে নেতাকর্মীদের তেমন উপস্থিতি নেই। সেই সঙ্গে এখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরাও উপস্থিত আছেন।

হাসপাতালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, প্রতিদিন হাসপাতালের সামনে দলটির নেতাকর্মীরা ভিড় করে থাকতো। এতে করে হাসপাতালে আসা রোগী, স্বজনদের সমস্যা হতো। তবে আজ নেতাকর্মীদের ভিড় নেই হাসপাতালের সামনে। আজ শুধু আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আর গণমাধ্যম কর্মীরা এখানে উপস্থিত আছে।

এ দিকে গতকাল বিকেলে এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত আছে। তবে শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

তিনি বলেন, ডা. জাহিদ বলেন– গত ২৩ নভেম্বর থেকে খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিদেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু হলেও কিছুটা বিলম্ব ঘটেছে।

এএসএস/বিআরইউ