বিএনপি একটি বাকবাকুম পার্টিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। 

রোববার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ‘কারা অভ্যন্তরীণ দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

নানক বলেন, যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে করোনার ভ্যাকসিন আসে তখন বিএনপি বলেছিল ভ্যাকসিন তারা নেবে না। ভ্যাকসিনের মধ্যেও তারা অপপ্রচার চালিয়েছিল। একদিকে তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও ভ্যাকসিন দেয়, অন্যদিকে তাদের নেতারা ভ্যাকসিন নিয়ে সমালোচনা করে। আসলে বিএনপি একটি বাকবাকুম পার্টিতে পরিণত হয়েছে। 

তিনি বলেন, যখন করোনার মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার নির্দেশে অসহায় ও দুস্থ মানুষের সেবায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে তখন, বিএনপির নেতাকর্মীরা একফোঁটা চাল দিয়ে কাউকে সহযোগিতা করেনি। যখন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে ছেলে মারা যাওয়ার পর বাবা দেখতে যেত না, বাবা মারা গেলে সন্তান যেতে চাইত না, তখনই তাদের পাশে ছাত্রলীগ নিরলস কাজ করে গেছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ছাত্রলীগ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল। 

ওয়ান-ইলেভেনের স্মৃতিচারণ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, সেদিন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্য ছিল জনগণের কণ্ঠরোধ করে দেওয়া। জনগণের অধিকার হরণের একটি কূটনৈতিক প্রক্রিয়া। এর শুরুটা হয় ২০০১ সালে। সে সময় তারা গণতন্ত্র রক্ষা কবজ শেখ হাসিনাকে হত্যার নীলনকশা করে। তারই অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটায়। 

তিনি বলেন, মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে শেখ হাসিনা যে স্বপ্ন নিয়ে লড়াই করছেন তা হলো জনগণের ভোট এবং ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। যখন তিনি জনগণ দ্বারপ্রান্তে, ঠিক সেই মুহূর্তে জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা এবং দলের অভ্যন্তরীণ সুবিধাবাদী উচ্চাভিলাষী একটি গোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের বিজয়কে ব্যাহত করতে ওয়ান-ইলেভেন ঘটায়। 

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।

এইউএ/জেডএস