নানা বিতর্কের মধ্যে অবশেষে নোয়াখালী জেলার বর্তমান কমিটি ভেঙে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত একাধিক নেতা এ কথা নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিমকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বর্তমান সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী ওই আহ্বায়ক কমিটিতে থাকবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিটি প্রকাশ করা হলে সেটা দেখবেন।

২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর জেলা সম্মেলনের মাধ্যমে খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিমকে সভাপতি ও সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনের দুই বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। জেলার দুই নেতা একটি খসড়া কমিটি জমা দিলে তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।

এরই মধ্যে কোম্পানিগঞ্জের পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই আবদুল কাদের মির্জা জেলার সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করেন। ‘সত্য বচন’ নামে ওই অবস্থানে কাদের মির্জা সরাসরি একরামুল করিম চৌধুরীর সমালোচনা করে তাকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার দাবি তোলেন। এ নিয়ে নোয়াখালীর রাজনীতি অস্থির হয়ে ওঠে। মারামারিও হয় কয়েক দফায়। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন এক সাংবাদিকসহ দুই জন। দাবি ওঠে একরামুল করিম চৌধুরীকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার।

সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বৈঠকে আহ্বায়ক কমিটি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ অভিযোগ ওঠায় সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে একরামুল করিম চৌধুরীকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করার মাধ্যমে নোয়াখালীর রাজনৈতিক সংকট কাটিয়ে তোলা হবে।

এইউএ/এসএসএইচ