সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি দাবি জানিয়ে বলেছে, ‘বিচার বহির্ভূত হত্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ঘটনায় সরকারের উচিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা। সেই সঙ্গে দোষীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সংবাদ মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলমের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গত দুই দশক ধরে বিচার বহির্ভূত হত্যা চলছে। বিচার বহির্ভূত হত্যায় নিহতদের পরিবার ও দেশের মানবাধিকার সংগঠন এবং বাম প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, পুলিশ ও র‌্যাব বিচার বহির্ভূত হত্যা করছে। আর পুলিশ ও র‌্যাব বলছে, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী মারা গেছে। দেখা যায়, কোনো পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য এসব ক্রসফায়ারের ঘটনায় আঘাতও পায় না, নিহতও হয় না।’

সামছুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক অধিকার ২৬ ধারা অনুসারে পুলিশ ও র‌্যাব কোনো মানুষকে গ্রেফতার করলে গ্রেফতারের কারণ জানাতে হবে। ৩৩ ধারা অনুসারে আসামিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হবে। আসামিকে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দিতে হবে। ৪৫ ধারা অনুসারে গণমাধ্যমকে জানাতে হবে কেন আসামিকে আটক করা হলো। গত দুই দশকে পুলিশ ও র‌্যাব বিনা কারণে আটক করে অসংখ্য মানুষকে ক্রসফায়ার দিয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানে নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়ার কথা থাকলেও পুলিশ ও র‌্যাব সংবিধানের মৌলিক অধিকারের ২৬, ৩৩, ৪৬-৩ অনুসারে কোনো রকম আইনি প্রক্রিয়া অবলম্বন করেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেসব র‌্যাব ও পুলিশ সদস্য এ মৌলিক অধিকার অমান্য করে মানুষকে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করেছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। মানুষ হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশে ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য আইন মন্ত্রণালয় থেকে বিচার বিভাগকে স্বাধীন করে দিতে হবে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

এমএইচএন/এসএসএইচ