আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পৃথক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জয়নাল হাজারী

হাসপাতালটির গণসংযোগ কর্মকর্তা চৌধুরী মেহের এ খোদা ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, ৭৮ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ কিডনি হৃদরোগসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা নিয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রীর শোক

জয়নাল হাজারীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

ড. হাছান মাহমুদ প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও তার শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

তথ্যমন্ত্রী তার শোকবার্তায় বলেন, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ জয়নাল হাজারী ১৯৮৪ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রায় বিশ বছরের বেশি সময় ধরে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ফেনী সদর আসন থেকে ১৯৮৬, ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৯ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। পাশাপাশি আঞ্চলিক দৈনিক হাজারিকা প্রতিদিন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা, প্রকাশক এবং সম্পাদক জয়নাল হাজারী গণমাধ্যমসেবী হিসেবেও কাজ করেছেন উল্লেখ করেন মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। 

রেলপথ মন্ত্রীর শোক

বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন হাজারীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।

মন্ত্রী এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এইউএ/পিএসডি/জেডএস