৬ মহানগরে ‘নগর সমাবেশ’ করবে বিএনপি
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল এবং রাজশাহী মহানগরে নগর সমাবেশ করবে বিএনপি। আজ (শুক্রবার) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ কথা জানানো হয়েছে।
‘দেশব্যাপী নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে গত সিটি নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থীদের নেতৃত্বে ছয় মহানগরের সমাবেশ শীর্ষক’ এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে পাশে রেখে এই ঘোষণা করেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী মজিবুর রহমান সরোয়ার।
বিজ্ঞাপন
এরআগে মঙ্গল ও বুধবার (২ ও ৩ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ (ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি) এবং চট্টগ্রামসহ ছয় সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলীয় মেয়রপ্রার্থীদের সঙ্গে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হওয়া বৈঠকে এই নগর সমাবেশের সিদ্ধান্ত হয়। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানানো হলো।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে মজিবুর রহমান সরোয়ার বলেন, ছয় সিটি এলাকার জনগণকে ভোট কারচুপির বিষয়ে জানাতে আমরা নগর সমাবেশ করবো। প্রথম সমাবেশ হবে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে। এরপর ধারাবাহিকভাবে বরিশালে ১৮ ফেব্রুয়ারি, খুলনায় ২৭ ফেব্রুয়ারি, রাজশাহীতে ১ মার্চ, ঢাকা উত্তর মহানগরে ৩ মার্চ এবং দক্ষিণ মহানগরে ৪ মার্চ সমাবেশ হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বরিশালের মেয়র প্রার্থী মজিবুর রহমান সরোয়ারসহ মোট ৫টি মহানগরের প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন। তারা হচ্ছেন— সদ্য সমাপ্ত চট্টগ্রাম সিটির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন, রাজশাহীর মেয়র প্রার্থী ও সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, ঢাকা উত্তরের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও দক্ষিণের প্রার্থী ইশরাক হোসেন। তবে খুলনার মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু অনুপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মজিবুর রহমান সরোয়ার বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। কিন্তু আমরা কী দেখতে পেলাম, সেখানেও রাষ্ট্রযন্ত্র প্রশাসন জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তাই আমরা জনগণকে সরকারের ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে সম্পৃক্ত করতে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে কিছু ভোট দেওয়া থাকে। জাতীয় নির্বাচনে যা ছিল ৫০ শতাংশ। এই নির্বাচনে ছিল ৫ শতাংশ বলে শুনেছি, কিন্তু পরে জানলাম সেটা ছিল ২০ শতাংশ। যার ফলে ব্যালটে লিখে লিখে যে চুরি করতে হয়, সেটি এখন আর লাগছে না। একটা আঙুলে বাটন চাপলে হাজার হাজার ভোট কারচুপি হয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের একটা থিংক ট্যাংক আছে। তারা বিভিন্ন দেশ ঘোরে এবং খুঁজে বের করে কিভাবে ভোট চুরি করা যায়, ডাকাতি করা যায়। এখন তারা ইভিএম নিয়ে এসেছে কিছুদিন পর দেখবেন তারা আবার নতুন কিছু নিয়ে এসেছে। সেখানে দেখা যাবে আরও বেশি ডাকাতি করা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমি বলেছি মামলা করবো, কারণ ৭-১০টি ধাপে তারা এই ভোট চুরি করেছে। নির্বাচনের সাত দিন আগে থেকে মামলা দেওয়া, যেটাকে আমাদের চট্টগ্রামের ভাষায় বলে আজগুবি মামলা। তিন দিন আগে থেকে ধরপাকড়, এজেন্টদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। ঠিক নির্বাচনের দুদিন আগেও আমি সংগ্রাম করেছি।
এমএইচএন/এনএফ