বিএনপির মিছিল /ছবি- ঢাকা পোস্ট

দীর্ঘদিন পর আবারও রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলায় সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে এই মিছিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। 

শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাড্ডা সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে ঝটিকা মিছিলটি শুরু হয়ে বাড্ডা লিংক রোডের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয় বলা জানান রিজভীর সহকারী তুষার। যদিও এটি দলের পূর্ব ঘোষিত কোনো কর্মসূচি ছিল না। তাৎক্ষণিক ওই মিছিলের আয়োজন করা হয়।

মিছিল শেষে রুহুল কবির রিজভী বলেন ‘সরকারের রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে যে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে তা দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই সরকারের আর কোথাও নিজেদের মুখ দেখাবার জো নেই। তাই আগের বৈশিষ্ট্যের মত প্রধানমন্ত্রীসহ অন্য মন্ত্রীরা ব্যর্থ রাষ্ট্রের ভয়াবহ ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদান করেছেন। একটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

সরকার চারদিক থেকে ব্যর্থ হয়ে জিয়া পরিবারকে টার্গেট করেছে বলে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘আবারও জিয়া পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলা দিয়ে এবং নানা ধরনের কুৎসা রটনা করে সরকার মনে করছে পার পেয়ে যাবে। কিন্তু জনগণের কাছে ইতোমধ্যেই এই আওয়ামী সরকার গণধিকৃত হয়ে গেছে। তাদের ক্ষমতায় থাকার আর কোনো ভিত্তি নেই।’

যেকোনো মুহূর্তে সরকারের পতন ঘটবে বলে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘অবিলম্বে দেশনায়ক তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা ও সাজা প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে সম্মিলিত আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে ধাক্কা দিয়ে পতন ঘটাতে জনগণ প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

পাঁচ বছর আগে যুক্তরাজ্যের এক আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তির প্রতিক্রিয়ায় করা মামলায় বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) নড়াইলের একটি আদালত তারেক রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়।

২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আটক করা হয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে। তখন তার বিরুদ্ধে করা চারটি মামলারও রায় হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপি এই নেতার যাবজ্জীবন, বিদেশে অর্থপাচার মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এএইচআর/ওএফ