কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আজ (সোমবার) সকাল পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা বিশ হাজার সাতশ ছাড়িয়ে গেছে। 

পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য বলছে, সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৪ হাজার ২শ ৬০ জন। মারা গেহেন ২০ হাজার ৭ শত ৬৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৭শত ৬৬ জন।

কানাডায় করোনার টিকাদান শুরু হয়েছে। তবে এখনও করোনা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে দেশটি। এই অবস্থায় কানাডায় ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতা দেখা দিয়েছে। ফাইজার থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে করোনা ভ্যাকসিনের সরবরাহ পাচ্ছে না কানাডা। 

এদিকে কানাডায় উৎপাদিত ভ্যাকসিন প্রথমবারের মতো  ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করেছে। কানাডায় ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থা ক্যালগেরির প্রধান নির্বাহী ব্র্যাড সোরেসন। তিনি বলেছেন, কানাডায় ডিজাইন করা ও উৎপাদন করা টিকা পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ শুরু হয়েছে। প্রথমবারের মতো টরোন্টোর এক ক্লিনিকে ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবককে এ টিকা দেওয়া হয়েছে। 

সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, ২০২১ সালের শেষের দিকে কানাডায় ভ্যাকসিনের কয়েক মিলিয়ন ডোজ উৎপাদন শুরু হতে পারে। গত এপ্রিল মাসে ক্যালগেরির এই ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থাটি কানাডা সরকারের কাছে অনুদানের জন্য আবেদন করে। 

কানাডায় বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরে বাধ্যতামূলক কোভিড টেস্ট করা হয়েছে। টেস্টের ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত সরকারের নির্দিষ্ট করে দেওয়া হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টিনে থাকতে জনপ্রতি ২ হাজার ডলারের বেশি ব্যয় হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই ব্যয় যাত্রীদের নিজেদের বহন করতে হবে বলে ফেডারেল পরিবহন মন্ত্রী ওমর আলঘাবরা জানিয়েছেন। 

এইচকে