অস্ট্রেলিয়ায় শীতকালে থাকে ক্রিকেটের অফ সিজন, তবু দিব্যি খেলছেন পার্থের ক্ষুদে ক্রিকেটাররা। আর এটি সম্ভব করেছেন বাংলাদেশের জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মাহবুবুর রহমান সেলিম।
 
শীতকালীন ক্রিকেটে উৎসাহিত করতে তিনি নিয়ে আসেন উইন্টার ক্রিকেটে টুর্নামেন্ট, যেটি মাঠে গড়ায় তার হাতে গড়া একাডেমি থেকে। পার্থ ক্রিকেট মেন্টর যা সংক্ষেপে ডাকা হয় পিসিএম নামে; মূলত এই একাডেমির মোট ১৬টি দল এবারের টুর্নামেন্টে অংশ নেয়। প্রথম শ্রেণির আম্পায়ার সেই সাথে ক্রিকেটের মূল ফরম্যাটে ক্ষুদেদের দেওয়া হয় প্রকৃত ক্রিকেট দুনিয়া। 

রোববার (২৩ জুলাই) ফাইনালে খেলে আন্ডার থার্টিনের সেরা দুটি দল। যথাযথ ক্রিকেটের নিয়ম মেনে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে ক্ষুদেরা। জয়ের হাসি হাসে পিসিএম টিম। 

খেলা শেষে প্রাথমিক পুরস্কার বিতরণী আয়োজন করে পিসিএম। কোচ সেলিমের নেতৃত্বে এতে অংশ নেন পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাঙ্গনের প্রিয়মুখ পিটার হার্ডি ও স্টিল জবসসহ আরও বেশ কিছু ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
 
অংশ নেওয়া ক্ষুদে ক্রিকেটারের মধ্যে সেরা পারফর্মারদের হাতে তুলে দেওয়া হয় উৎসাহমূলক পুরস্কার। আয়োজনটিতে উপস্থিত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা এই একাডেমির গুণকীর্তন করেন। অভিভাবকরাও কোচ সেলিমের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, জানান জাতীয় দলের সাবেক এই খেলোয়ড়কে কোচ হিসেবে পেয়ে খুশি তারা। 

পিসিএমের এই যাত্রা অব্যাহত থাকবে। আগামী ৫ আগস্ট হবে গালা নাইট, অংশ নেবে সিনিয়র জুনিয়র ক্রিকেটারসহ পার্থের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা।

১৯৯৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেলিমের আন্তর্জাতিক অভিষেক। ক্লাব ক্রিকেটে খেলেছেন দীর্ঘদিন। সেটাও আবাহনীর মতো বড় ক্লাবে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপ দলে ছিলেন স্ট্যান্ডবাই হিসেবে। তারপর পাড়ি জমান অস্ট্রেলিয়ায়, শুরু থেকে কাজ শুরু করেন ক্রিকেট নিয়ে, অস্ট্রেলিয়ার বেঁধে দেওয়া নানা ধাপ পেরিয়ে গড়ে তোলেন আপন সাম্রাজ্য। সম্পন্ন করেন কোচিংয়ের লেভেল টু। তৃণমূল ক্রিকেট ও ক্লাব ক্রিকেটে দীর্ঘদিন কাজ করে প্রতিষ্ঠা করেন পার্থ ক্রিকেট মেন্টরিং। সাড়াও মেলে বেশ। এখন স্বপ্ন দেখেন এখান থেকে অস্ট্রেলিয়ার মূল দলের ক্রিকেটার তৈরি করবেন। তবে ভুলে যাননি নিজ দেশকে, সুযোগ মিললে বাংলাদেশের ক্রিকেটেও উজাড় করে দিতে চান তিনি, করতে চান ক্রিকেট একাডেমিও। 

এমএ