বাংলাদেশ-জাপানের মধ্যে সম্পর্কের উত্তরোত্তর উন্নতি ঘটবে
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার ইয়োশিকাওয়া ইউমি বলেছেন, জাপান সরকারের পক্ষ থেকে জেওসিভি প্রোগ্রাম চালু করার বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়। তিন বাংলাদেশকে জাপানের বিশেষ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেন এবং দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের উত্তরোত্তর উন্নতি ঘটবে এবং সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
জাপানের টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশে জাইকার জেওসিভি প্রোগ্রামের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের মধ্য দিয়ে দুই বন্ধুভাবাপন্ন দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি রচিত হয়েছিল। বাংলাদেশে জাইকার জেওসিভি প্রোগ্রামের ৫০ বছরপূর্তি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে সমর্থন দানের জন্য জাপান ও জাপানের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
রাষ্ট্রদূত আশা করেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আগামীতে আরও গভীর ও শক্তিশালী হবে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে ইআরডি সচিব শরিফা খান স্বাগত বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, জাপান এককভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশকে জাপানের প্রতিশ্রুত উন্নয়ন সহায়তার পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে জেওসিভি প্রোগ্রাম স্থগিত হয়ে গেলেও এ মাসেই তা আবার চালু হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার সৈয়দ নাসির এরশাদ। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা এবং জেওসিভির সাবেক ও বর্তমান ভলান্টিয়াররা উপস্থিত ছিলেন।
/এসএসএইচ/