ইইউর প্রতি আস্থাশীল পর্তুগাল ও আয়ারল্যান্ডের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর নাগরিকদের ওপর ইউরোব্যারোমিটার নামের একটি জরিপ চালানো হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে চালানো ওই জরিপে ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ পর্তুগালের ৭৮ শতাংশ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়ারল্যান্ডের ৭৪ শতাংশ মানুষ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আস্থার কথা জানিয়েছেন। অপরদিকে গ্রিসের ৬৩ শতাংশ জনগণ ইইউর প্রতি অনাস্থার কথা জানিয়েছেন।
ইইউর অর্থনীতি এবং মুদ্রা বিষয়ক ইউনিয়ন ইউরোর প্রতি পর্তুগিজ জনগণের আস্থা সর্বোচ্চ ৯৫ শতাংশ, দ্বিতীয় দেশ হিসেবে স্লোভেনিয়া ৯৪ শতাংশ এবং তৃতীয় আয়ারল্যান্ডের ৯১ শতাংশ নাগরিক আস্থা পোষণ করেছেন। তারা মনে করেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জোট গত একক অর্থনীতির মাধ্যমে বিশ্বের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মাথা উঁচু করে অবস্থান করতে পারবে।
বিজ্ঞাপন
তবে নিজ দেশের জাতীয় অর্থনীতির ক্ষেত্রে বর্তমান মহামারির প্রেক্ষাপটে পর্তুগালের ৯০ শতাংশ মানুষ মনে করেন, তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো অবস্থানে নেই। তবে এই সংখ্যাটি সর্বনিম্ন পর্যায়ে আছে ইতালির ক্ষেত্রে। তাদের ৯৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন, তাদের অর্থনীতি খুবই খারাপ পর্যায়ে রয়েছে। তবে লুক্সেমবুর্গের ৮৬ শতাংশ মানুষ তাদের জাতীয় অর্থনীতির ওপর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
অপরদিকে মহামারির ক্ষতি মোকাবিলা ও সদস্য রাষ্ট্রগুলো ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে ৭৫০ বিলিয়ন ইউরোর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, পর্তুগালের জনগণের ৫০ শতাংশ মানুষ মনে করেন এটি কার্যকর করা সম্ভব হবে। অপরদিকে মালটা এবং আয়ারল্যান্ডের যথাক্রমে ৮৩ ও ৭৭ শতাংশ নাগরিক কার্যকারিতার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
বিজ্ঞাপন
করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকার ক্ষেত্রে তৃতীয় দেশ হিসেবে পর্তুগালের ৬৬ শতাংশ মানুষ মনে করেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি হিসেবে ডেনমার্কের ৬৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন করোনা মহামারি প্রতিরোধে সঠিক অবস্থানে রয়েছে। যদিও গ্রিসের ৬৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন করোনা প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছে বা সঠিক ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
আইবেরিয়ান পেনিনসুলার হাজার বছরের ইতিহাস সমৃদ্ধ দেশ পর্তুগাল। বড় একটি সময় অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশটিতে শাসন কার্য পরিচালিত হওয়ায় ইইউর প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অর্থনৈতিক অবস্থা পরিবর্তন করতে পারেনি। যদিও পরবর্তীতে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যুক্ত হয়ে এবং সরকারের বিভিন্ন অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে বিগত দশকে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। তাছাড়া পর্তুগাল বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্সি কাউন্সিল হিসেবে ইউরোপের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করছে, যার মেয়াদ এ বছরের জুন মাসে শেষ হবে।
এসএসএইচ