কবিকণ্ঠের উদ্যোগে লন্ডনে তিনটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার ( ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) লন্ডনের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কবিকণ্ঠ-এর উদ্যোগে পূর্ব লন্ডনের লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে এ প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  

যে তিনটি বই নিয়ে এ আয়োজন ছিল সেই বই তিনটি হলো— কবি আবু মকসুদের ‘ছোটো আপার বিরানভাত’ (স্মৃতিকথামূলক বই), কবি মাহফুজা রহমানের ‘নতুন এক বৈরাগী আমি’ (গীতিকবিতা) এবং কবি উর্মিলা আফরোজের ‘জন্ম, মৃত্যু ও পালকি’ (কবিতা গল্প এবং নাট্যাংশ গ্রন্থ)। এ তিনটি বই  লন্ডন থেকে প্রকাশ করেছে কবিকণ্ঠ।

কবি কণ্ঠের কর্ণধার কবি হামিদ মোহাম্মদের উপস্থাপনায় ও গবেষক ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রথমে তিনটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বইয়ে মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন— বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান, বিশিষ্ট সমাজকর্মী প্রশান্ত পুরকায়স্থ, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ড. আনসার আহমদ উল্লাহ, দাবা ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ নান্নু, সাবেক ডেপুটি মেয়র শহিদ আলী, শিক্ষাবিদ বাসিত চৌধুরী, নারী উদ্যোক্তা সাঈদা চৌধুরী, কবি সালমা বেগম, কবি সৈয়দ হিলাল সাঈফ ও রেজাউল করিমমৃধা সহ সুধীজন, লেখক ও সংবাদিকবৃন্দ।

অনুষ্ঠানটি পাঠক-লেখকদের এক মিনি মিলন মেলায় পরিণত হয়। এ বইগুলোর প্রকাশনায় বক্তারা বলেন, বই জ্ঞানের বাহন, বই আলোর প্রতীক। মানুষের মননকে ঋদ্ধ করে বই। মনের অন্ধকার দূর করে মানুষকে সত্যের পথে ধাবিত করে বই। বইয়ের মাধ্যমে ঘরে বসেই পরিচয় ঘটে অচেনা বিশ্বের সাথে। মানুষের ঘুমন্ত হৃদয়কে জাগাতে পারে। বিশেষ করে বিলেতে বসে বাংলা ভাষাভাষি লেখকদের বই পাঠকদের হাতে তুলে দেওয়া একটি বিশাল ব্যাপার, একটি অসাধ্যকে সাধন করা বলা যায়।

অনুষ্ঠানে মাহফুজা রহমানের পরিচিতি পাঠ করেন সাংবাদিক নিলুফা ইয়াসমীন হাসান, আবু মকসুদের পরিচিতি পাঠ করেন এম মোশাইদ খান ও উর্মিলা আফরোজের পরিচিতি পাঠ করেন উদয় শংকর দূর্জয়। পরিচিতি পাঠের পর লেখক ও কবিরা নিজ নিজ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন। 

অনুষ্ঠানে কবি কণ্ঠের ভূয়সী প্রশংসা করে বক্তব্য রাখেন- কবি আতাউর রহমান মিলাদ, কবি মুজিবুল হক মনি, এমদাদ তালুকদার ।

তারা বলেন, লন্ডন থেকে এই প্রথম বাংলা বই প্রকাশ শুরু করেছে কবি কণ্ঠ।  এটি সাহসী উদ্যোগ। কবি হামিদ মোহাম্মদ কবিকণ্ঠের মাধ্যমে লন্ডনে বই প্রকাশ করায় ঢাকা থেকে বই প্রকাশের আর প্রয়োজন নেই। গবেষবক ফারুক আহমেদ তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ইতো পূর্বে ১৯৮৮ সালে লন্ডনে উদীচী প্রতিষ্ঠায় অগ্রনী ভূমিকা ও ১৯৮৯ সালে সপ্তাহব্যাপী বইমেলার আয়োজন করে হামিদ মোহাম্মদ ইতিহাসের অংশ হয়েছিলেন। এবার ও বই প্রকাশ করে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন, তাকে অভিনন্দন। 

এনএফ