‘মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান’
সংযুক্ত আরব আমিরাতে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালিত হয়েছে।
রোববার (১ জুন) শারজাহর একটি স্থানীয় রেস্টুরেন্টে এই উপলক্ষে খতমে কোরান, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আমিরাত বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও দুবাই বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম।
ইউএই বিএনপির সদস্য এস এম মোদাচ্ছের শাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, আমিরাত বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আমিরুল ইসলাম চৌধুরী।
বিজ্ঞাপন
এ সময় প্রকৌশলী মাহে আলম, সামছুন নাহার স্বপ্না, প্রকৌশলী করিমুল হক, আজমান বিএনপির সভাপতি শাহীন, বাবু নীল রতন দাস, শাহদাত হোসেন সুমন, এইচ এম এরশাদ,আবুল বশর, মজিবুল হক মঞ্জু, বিএনপি নেতা সিআইপি জাহাঙ্গীর আলম, শেখ সেলিমসহ বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আগত বিএনপির নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীরা।
সভার শুরুতে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী সব শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, দেশপ্রেম এবং জাতি গঠনে তার অসামান্য অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
তারা বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু একজন সেক্টর কমান্ডার এবং সফল রাষ্ট্রনায়কই ছিলেন না, তিনি ছিলেন আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা। তার হাত ধরেই বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়েছিল এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছিল।
বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে স্বনির্ভর করার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং কৃষকদের জন্য আধুনিক কৃষি পদ্ধতি প্রবর্তন, খাল খনন কর্মসূচী, গ্রাম সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ অসংখ্য জনকল্যাণমূলক কাজ শুরু করেছিলেন। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি সম্মানজনক অবস্থান লাভ করেছিল। মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই চালু হয়েছে।
বিএনপি আমিরাত শাখার নেতারা তাদের বক্তব্যে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়েও কথা বলেন এবং দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে আরও যারা বক্তব্য দেন- ফজলুর রহমান পাপ্পু খান, আমিনুল ইসলাম টিপু, তরিকুল ইসলাম, জাকারিয়া রাশেদ, শাহ আলম, ইসমাইল হোসেন, এরশাদ কন্ট্রাক্টর, রুবেল চৌধুরী, রেজাউল করিম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও নীতি অনুসরণ করে একটি সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। দোয়া মাহফিলের পর তবারক বিতরণ করা হয়।
এমএন