মহররমের ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা নামে পরিচিত। এদিনটি ইতিহাসে অনেক তাৎপর্য বহন করে। এ দিনেই হযরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়, হযরত ইব্রাহিম (আ.) অগ্নিকুণ্ড থেকে, হযরত ইউনুস (আ.) মাছের পেট থেকে, হযরত আইয়্যুব (আ.) রোগ থেকে মুক্তি লাভ করেন। একইদিনে কারবালার ফোরাত নদীর তীরে নবীজির প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হুসাইন (রা.) শহিদ হন।

কারবালার প্রান্তরে হযরত ইমাম হুসাইন (রা.) এর আত্মত্যাগ হক এবং বাতিলের ব্যবধানকে ফুটিয়ে তোলে, সত্য এবং মিথ্যার তফাৎকে স্পষ্ট করে, আশেকে রাসূল (দ.) এবং দুশমনে রাসূল (দ.) এর পরিচয়কে তুলে ধরে। সত্যের পথে এবং মতে ইমাম হুসাইন (রা.) যে আপোষহীন মনোভাব দেখিয়েছন তা যুগে যুগে সত্যানুসন্ধানী মানুষের জন্য অনন্ত অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। এই অনুপ্রেরণা এবং প্রিয় নবীজির ভালোবাসায় হযরত গাউছুল আজম (রা.) আজীবন ত্যাগ ও কুরবানির নজরানা পেশ করেছেন। 

এই মহান ব্যক্তিত্বের তরিক্বতে মুহাব্বতের নিয়তে প্রতিদিন ১১১১ বার দরূদ শরীফ কখনো ক্বাযা হয়ে গেলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদায় করা ছাড়াও তরিক্বতের নির্দিষ্ট স্তরে পৌঁছার পর আহলে বায়াতের ওপর ১২৫ বার দরূদ শরীফ পড়তে হয়। যা একদিকে যেমন প্রিয় রাসূল (দ.) এর ভালোবাসাকে সমুন্নত করে অন্যদিকে আহলে বায়াতের প্রতি ভালোবাসাকে ফুটিয়ে তুলে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো এই সমস্ত আমলগুলো শুধু মহররম মাসে পালন করা হয় না বরং সারা জীবনে পালন করে যেতে হয়। সুবহানআল্লাহ।

শনিবার (৫ জুলাই) বাদ যোহর থেকে চট্টগ্রাম কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত পবিত্র শোহাদায়ে কারবালা (রা.) স্মরণে ৭৩তম আশুরা মাহফিলে মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী প্রধান মেহমানের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য এবং মুনিরীয়া যুব তবলিগ কমিটি বাংলাদেশের মহাসচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে বক্তব্য দেন- মুফতি মাওলানা কাজী মুহাম্মদ আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, মাওলানা মুহাম্মদ আবদুস সবুর ও মাওলানা মুহাম্মদ গোলাম রব্বানী ফয়সাল।

মিলাদ-কিয়াম শেষে প্রধান মেহমান দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি-সমৃদ্ধি এবং কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদিয়াল্লাহু আনহুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।

এমএন