কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ পালন করেছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দিবস পালনের সব পর্বে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রদূত, দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করে শোনান দূতাবাসের ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাকিবুল করিম চৌধুরী ও মিনিস্টার (শ্রম) আবুল হোসেন। এতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ওপর নির্বাচিত কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের পর কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন।

রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ৫ আগস্ট বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়, যেখানে দেশপ্রেম, গণতন্ত্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা একত্রিত হয়ে নতুন প্রত্যয়ের জন্ম দিয়েছিল। ২০২৪ সালের এই দিনে বাংলাদেশ ইতিহাসের এমন এক গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে দাঁড়িয়েছিল যখন গণমানুষের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাওয়ার একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছিল। এই বিপ্লব ছিল বাংলাদেশের সংবিধান, স্বাধীনতা ও জনগণের অধিকার রক্ষার প্রতীক। এটি ছিল সেই সাহসী কণ্ঠস্বরের প্রতিফলন, যা সব অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, প্রবাসে বসবাসরত সব বাংলাদেশি এই আন্দোলন ও অর্জনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কেননা, তারা সুখ-দুঃখে পাশে থেকে তাদের শ্রম, প্রেরণা ও ভালোবাসার মাধ্যমে সবসময়ই দেশকে শক্তি ও সাহস জুগিয়েছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, আজকের এই দিনে, আমরা কেবল অতীতকে স্মরণ করছি না, আমরা ভবিষ্যতের জন্য অঙ্গীকার করছি। আমরা একটি উন্নত, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি, যেখানে সব নাগরিকের অধিকার সমানভাবে নিশ্চিত হবে, যেখানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে এবং যেখানে প্রতিটি নাগরিক সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারবে।

তিনি কুয়েতে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান এবং ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’র চেতনা হৃদয়ে ধারণ করে আগামীর বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান।

শেষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য দোয়া ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

এসএসএইচ