নাজমুল হাসান

দক্ষিণ কোরিয়াতে নাজমুল হাসান (৩০) নামে এক প্রবাসীর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানার নেত্রাবতী গ্রামে অবস্থিত। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার ছাং উওন শহরের ওরিম নামক ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। 

জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে নাজমুল হাসান প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান। পরে সেখান থেকে উন্নত জীবনের আশায় দক্ষিণ কোরিয়াতে পাড়ি জমান।

প্রবাসী নাজমুল হাসানের আকস্মিক মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে জানা গেছে, মৃত্যুর আগের দিন করোনার টিকা নিয়ে ছিল। বুধবার (২৫ আগস্ট) এই বাংলাদেশি রেমিটেন্স যোদ্ধা রাতে ঘুমানোর পরে সকালে আর ঘুম থেকে উঠতে পারেননি। এখন সবার মনে একটাই প্রশ্ন, কেন মৃত্যুর কাছে পরাজিত হল অল্প বয়সে এ রেমিটেন্স যোদ্ধা? কিন্তু, পুলিশ রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ধারণা করে কিছুই বলা যাচ্ছে না।

এদিকে বিগত বছরগুলোতে অনেক বাংলাদেশি প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধা অকালে মৃত্যুবরণ করেছে কোরিয়াতে। কেউ স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকে আবার কেউবা দুর্ঘটনায়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাতে ঘুমানোর পর সকালে ঘুম থেকে উঠতে না পারার ঘটনায় সবচেয়ে বেশি। এমতাবস্তায় কোরিয়াজুড়ে বাংলাদেশি প্রবাসীদের মধ্যে একটাই প্রশ্ন কেন এমন হচ্ছে? ইতোমধ্যে প্রবাসীদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে দূতাবাসসহ বাংলাদেশের সংগঠনগুলো বিভিন্ন স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাস একটি বিজ্ঞপ্তি জানায়, বাংলাদেশি কর্মী নাজমুল হাসান মৃত্যুতে তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা ও মরদেহ দেশে পাঠানোর জন্য দূতাবাস সচেষ্ট রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব নয়। করোনা টিকা নেওয়ার ফলে নাজমুল হাসানের মৃত্যু ঘটেছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। 

দক্ষিণ কোরিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। নাজমুলের আকস্মিক মৃত্যুতে বিভিন্ন সংগঠনসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা গভীর শোক প্রকাশ করেছে।

ওএফ