দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার

কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। প্রধান চারটি প্রদেশ অন্টারিও, বৃটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা ও কুইবেকে নাটকীয়ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতাল, নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রগুলোতে ব্যাপক চাপ পড়ছে।

সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ২৫ হাজার ৪৯৫ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ১৮ হাজার ৪৬২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৬২০ জন।

সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি, বিভিন্ন বিধিনিষেধ সত্ত্বেও করোনাভাইরাসকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বিভিন্ন প্রদেশে কড়াকড়ি নজরদারিও চলছে।

লোক সংখ্যার দিক থেকে কানাডার বৃহওম প্রদেশ অন্টারিওতে প্রতিদিনই প্রচুর সংখ্যক করোনা আক্রান্ত রোগীর খবর পাওয়া যাচ্ছে। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া অন্টারিওবাসীকে বাড়িতে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। অস্বাভাবিক সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় এই নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড।

এ নতুন বিধিনিষেধ আরোপে উইন্ডসর-এজেক্স, পিল রিজিয়ন, টরন্টো, ইয়র্ক রিজিয়ন ও হ্যামিলটনে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে কোনো পাঠদান হবে না। সুযোগ থাকলে কর্মীদের বাড়িতে বসে কাজের সুযোগ দিতে হবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে। ঘরের বাইরে পাঁচজনের বেশি মানুষ এক জায়গায় জড়ো হতে পারবে না। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলোর ভেতরে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে। এছাড়া আউটডোরে দুই মিটারের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রেও মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

অনাবশ্যক সব খুচরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাত আটটার মধ্যে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে এবং কোনোমতেই সকাল সাতটার আগে খোলা যাবে না। তবে খাদ্যপণ্য বিক্রয়কারী দোকান, গ্যাস স্টেশন, ফার্মেসি, কনভিনিয়েন্স স্টোর বা টেক-আউট সেবা প্রদানকারী রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে সময়ের এ বাধ্যবাধকতা প্রযোজ্য হবে না।

অনাবশ্যক নির্মাণকাজের ওপরও আরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তবে জরিপ কাজকে এ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইতোমধ্যেই প্রতীক্ষিত টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে কানাডাবাসীর মধ্যে। তবুও করোনা নিয়ন্ত্রণে অনেক ক্ষেত্রেই হিমশিম খেতে হচ্ছে নীতিনির্ধারকদের। কানাডায় আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে টিকার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই।

এসআরএস