বাংলাদেশ থেকে ভিসা আবেদন গ্রহণ শুরু করতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে করোনা সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধ করে দিয়েছিল দেশটি। 

দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলের বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের ফেসবুক পেজের এক বার্তায় জানিয়েছে, বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের হার সম্প্রতি হ্রাস পাওয়ার কারণে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ফলে শিক্ষার্থীসহ ইপিএস কর্মীরা দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়ার ভিসার আবেদন করতে পারবেন।

তবে, দক্ষিণ কোরিয়ায় যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার আবারো বৃদ্ধি পেলে ‘ভিসা নিষেধাজ্ঞা’ পুনরায় চালু হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাই, দক্ষিণ কোরিয়ার যাওয়ার আগে করোনা শনাক্তের নমুনা পরীক্ষার সময় ও করোনা সনদ সংগ্রহের সময় সবাইকে  যথাসম্ভব সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। 

এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের জানান, সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে পুনরায় ভিসা দেবে দক্ষিণ কোরিয়া। এই ভিসা প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশি নাগরিকসহ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।

সূত্র বলছে, গত বছরের জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া বাংলাদেশিদের মধ্যে ৭৮ জনের করোনা পজিটিভ আসে। এতে দেশটির সরকার বাংলাদেশের নাগরিকদের ওপর আরোপিত ‘ভিসা নিষেধাজ্ঞা’ দেয়। সেসময় দেশটির ভাষ্য ছিল, বাংলাদেশি নাগরিকদের করোনা পজিটিভের  শনাক্তের হার শূন্যের কোটায় না আসা পর্যন্ত বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হবে না।

এরই প্রেক্ষিতে দেশটিতে বাংলাদেশি কর্মী ছাড়াও বৃত্তি পাওয়া প্রায় ১৫১ শিক্ষার্থী যেতে পারছিল না। এ নিয়ে তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমনকে চিঠিও দিয়েছিল। গত বছরের শেষের দিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সাংবাদিকদের জানান, দেশটিতে বাংলাদেশিদের প্রবেশে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

শুরুতে দক্ষিণ কোরিয়া ব্যাপক আকারে করোনা ছড়িয়ে পড়লে কঠোর লকডাউনে যায় দেশটি। আক্রান্তদের বেশিরভাগই ছিল রাজধানী সিউলের বাসিন্দা। দক্ষিণ কোরিয়া ভাইরাস শনাক্তে কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসে। 

ওয়াল্ডোমিটার অনুযায়ী, দেশটিতে এপর্যন্ত ৮০ হাজার ৮৯৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এসময় মারা যায় এক হাজার ৪৭১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭২ জন আক্রান্ত ও সাতজন মারা গেছেন।

ওএফ/এনআই