প্রতীকী ছবি

রমজান মাসের রোজা ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভের তৃতীয়। আল্লাহর প্রিয় ইবাদতগুলোরও একটি। আর ইবাদত অধিক ফলপ্রসূ হয়, যখন মুমিন তা আল্লাহর নির্দেশ ও আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর নিয়ম অনুসারে করে।

রমজানের রোজাকে কিছু আমল সুন্দর ও সার্থক করে তোলে। এমন পাঁচটি আমল হলো—

এক. মিসওয়াক করা

আমির ইবনে রাবিআ (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে রোজা অবস্থায় এত বেশি মিসওয়াক করতে দেখেছি যে— তা সংখ্যায় নির্ণয় করা মুশকিল।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ২৩৬৪)

দুই. দ্রুত ইফতার করা

সময় হওয়ার পর ইফতার গ্রহণে বিলম্ব না করাই মুস্তাহাব। সাহাল ইবনে সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মানুষ যত দিন দ্রুত ইফতার করবে, তত দিন তারা কল্যাণের ওপর থাকবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯৫৭)

 তিন. খেজুর দিয়ে ইফতার করা

খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করা উত্তম। আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজের আগে কয়েকটি পাকা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন, পাকা খেজুর না পেলে খোরমা দিয়ে, তাও না পেলে কয়েক ঢোক পানি দিয়ে (ইফতার করতেন)।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ২৩৫৬)

চার. ইফতারের সময় দোয়া করা

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) ইফতারের সময় বলতেন, ‘পিপাসা দূর হয়েছে, শিরা-উপশিরাগুলো সিক্ত হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ প্রতিদানও নির্ধারিত হয়েছে।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ২৩৫৭)

পাঁচ. বিলম্বে সাহরি করা

সাহাল ইবনে সাদ (রা.) বলেন, ‘আমি আমার পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সাহরি করতাম। এরপর আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে নামাজে অংশ গ্রহণ করতে জলদি করতাম।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯২০)

লেখক : সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা