তাশাহুদের আগে ভুলে বিসমিল্লাহ পড়লে যা করবেন
প্রতীকী ছবি
আল্লাহ তায়ালার ওপর বিশ্বাস স্থাপন ও ইসলামকে ধর্ম হিসেবে মেনে নেওয়ার পরই একজন মুসলমানের জন্য শরীয়তের যাবতীয় বিধান পালন করা ফরজ হয়ে যায়। ঈমানের পরই আসে নামাজ আদায়ের বিধান। রোজা, হজ, জাকাত- এসব বিধান নির্দিষ্ট সময় ও নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য ফরজ। তবে সব সময় আল্লাহর ওপর ঈমান রাখা ও প্রতিদিন সময় মতো নামাজ পড়া সবার জন্য ফরজ। এতে অলসতা বা গড়িমসি করার কোনও সুযোগ নেই।
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে কিছু ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নত রয়েছে। নামাজ আদায় বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য যেগুলো পালন করা করা আবশ্যক। নামাজের এমন একটি ওয়াজিব বিধান হলো- বৈঠকে তাশাহহুদ পড়া। প্রতি দুই রাকাত পর পর বৈঠকে বসতে হয়।
বিজ্ঞাপন
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমরা যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পেছনে নামাজ আদায় করতাম, তখন আমরা বলতাম- ‘আসসালামু আলা জিবরিলা ওয়া মিকাইলা ওয়া আসসালামু আলা ফুলান ওয়া ফুলান।’ তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আল্লাহ তাআলা নিজেই তো সালাম দিয়েছেন। তাই যখন তোমরা কেউ নামাজ আদায় করবে, তখন সে যেন বলে-
বিজ্ঞাপন
التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ ، السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ ، السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ
উচ্চারণ : ‘আত্তাহিইয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াছ ছালাওয়াতু ওয়াত ত্বাইয়্যিবাতু, আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিছ ছালিহীন।’
কেননা, যখন তোমরা এ দোয়া পড়বে তখন তা আসমান ও জমিনে অবস্থানকারী আল্লাহর সব নেক বান্দার কাছে পৌছে যাবে।-(বুখারি, হাদিস : ৪০২; মুসলিম, হাদিস : ৬২৬৫)
প্রশ্ন হলো, যদি কোনো ব্যক্তি নামাজে তাশাহুদ পাঠের আগে ভুলবশত পুরো বিসমিল্লাহ পড়ে ফেলে, এতে কি সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে? বা নামাজের কী পরিমাণ ক্ষতি হবে?
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, তাশাহুদের শুরুতে জেনেশুনে পূর্ণ বিসমিল্লাহ পড়া মাকরুহ। তবে ভুলবশত পূর্ণ বিসমিল্লাহ তাশাহুদের পূর্বে পড়ে ফেললে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না। বরং নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে। তাই উক্ত ব্যক্তির ওপর সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।-(হিন্দিয়া : ১/১২৭, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া : ১৬/৩৫৫, আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/৩৬, এমদাদুল আহকাম : ১/৬৭৯)
এনটি