পরকালের প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে
মৃত্যুর পরে মানুষের সাথে তাই ঘটবে যা সে পরকালের জন্য পৃথিবী থেকে অর্জন করেছে। হজরত আনাস (রা.)-এর বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মাইয়েতকে দাফন শেষে যখন তার পরিবারবর্গ ও সঙ্গীসাথীরা ফিরে যায় এবং তাদের জুতার আওয়াজ মাইয়েত অবশ্যই শুনতে থাকে, তখন দু’জন ফেরেশতা আসেন ও তাকে উঠিয়ে বসান।...
অতঃপর যদি সে মুনাফিক ও কাফের হয়, তখন তাকে এই ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে সে বলবে, আমি জানি না। লোকেরা যা বলত, আমিও তাই বলতাম। তাকে বলা হবে, তুমি তোমার জ্ঞান দিয়েও বুঝনি। পাঠ করেও জানতে চেষ্টা করোনি...। -(ইবনু মাজাহ হা/৪২৭২; মিশকাত হা/১৩৮)
বিজ্ঞাপন
পরকালের প্রস্তুতির জন্য মানুষকে নেক আমল করতে বলা হয়েছে। বর্ণিত হয়েছে, ‘আমার এবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা যারিয়াত : আয়াত ৫৬)
পরকালের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য প্রত্যেক মুমিনের উচিত নেক ও পুণ্যের কাজ করা। ভালো কাজের প্রচেষ্টা করা। পুণ্যের কাজে প্রচেষ্টা মানুষকে পরকালের কথা স্মরণ করিয়ে দেন এবং মুমিনের মৃত্যুযন্ত্রণা সহজ করে।
বিজ্ঞাপন
আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ভালো ও পুণ্যের কাজ খারাপ মৃত্যু থেকে বাঁচিয়ে রাখে, গোপনে দান আল্লাহর ক্রোধ ঠাণ্ডা করে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক বয়স বৃদ্ধি করে। (তাবরানি কাবির, হাদিস : ৮০১৪)
এছাড়াও কবর জিয়ারত মৃত্যু ও আখিরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয়। অন্তরে কবরের শাস্তির ভয়াবহতা সৃষ্টি করে। ফলে এর দ্বারা অন্যায় থেকে তওবা এবং মৃত্যুর প্রস্তুতি গ্রহণে সাহায্য করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমি তোমাদের এর আগে কবর জিয়ারতে নিষেধ করেছিলাম, এখন থেকে কবর জিয়ারত করো। কেননা তা দুনিয়াবিমুখতা এনে দেয় এবং আখিরাতের স্মরণ করিয়ে দেয়।’ -(ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৫৭১)
নেক আমলের পাশাপাশি মৃত্যুকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করার কথা বলেছেন আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এর বড় একটি উপকার হচ্ছে, তা অন্তর থেকে দুনিয়ার আসক্তি দূর করে এবং পরকালের চিন্তা সৃষ্টি করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সব ভোগ-উপভোগ বিনাশকারী মৃত্যুকে তোমরা বেশি বেশি স্মরণ করো। (তিরমিজি, হাদিস ২৩০৭)
এনটি