রঙ ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহার করা যাবে?
প্রতীকী ছবি
সৌন্দর্যের জন্য ইসলামি শরিয়তের মধ্যে যেটা অনুমোদন দেওয়া আছে, সেটা করতে কোনো ধরনের বাধা নেই। যদি কেউ সৌন্দর্যের উপকরণগুলো ব্যবহার করেন আর সেটাতে ইসলামি শরিয়তের নিষিদ্ধ কোনো বিষয় না থাকে, যেমন : সাবান, ক্রিম ব্যবহার করা, এগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। এগুলো হারাম বা নিষিদ্ধ বিষয় নয়।
শায়ক বিন বায রহ. বলেন,
বিজ্ঞাপন
المكياج من باب الزينة، إذا كان لا يضر الوجه ولا يسبب ضرراً فلا حرج في ذلك، أما إذا كان يسبب ضرر فلا يُفعل
মেকআপ সাজসজ্জার অন্তর্ভুক্ত। যদি চেহারা বা ত্বকের ক্ষতি না করে তাহলে অসুবিধা নেই। কিন্তু যদি এর কারণে ক্ষতি হয় তাহলে করা যাবে না।
বিজ্ঞাপন
তবে এসব প্রসাধনী ব্যবহারের সময় নিম্নোক্ত বিষ্যগুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে-
১- অমুসলিম কিংবা প্রকাশ্য পাপাচারে লিপ্ত নারীদের অনুকরণ করার উদ্দেশ্যে হলে এসবের ব্যবহার জায়েয হবে না।
২- মেকআপে ক্ষতিকর বস্তু বা প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না। কেননা, আমাদের দেহের মালিক আমরা নই।
৩- অতিরিক্ত রূপচর্চা করা যাবে না। কেননা, অতিরিক্ত রূপচর্চা হয়ত ত্বকের ক্ষতি করে কিংবা অপচয়ের সীমায় পড়ে।
৪– যে সমস্ত প্রসাধনী হালাল বস্তু দ্বারা তৈরি, সেগুলোর ব্যবহার জায়েয। যেমন- সাধারণ মেকআপ, ক্রিম, লিপস্টিক ইত্যাদি। তবে এগুলোর উপাদানে যদি হারাম কিছু থাকে, এমনটি নিশ্চিতভাবে জানা থাকলে সেগুলো ব্যবহার করা জায়েয হবে না।
৫- যে সমস্ত সাজসামগ্রীতে অ্যালকোহল ব্যবহার করা হয়, সেগুলো যদি আঙুর বা কিসমিসের তৈরি না হয় এবং নেশার পরিমাণে না পৌঁছায়, তাহলে ইমাম আবু হানিফা রহ.-এর মতানুযায়ী তা ব্যবহার জায়েয। আর যদি আঙুর বা কিসমিসের তৈরি হয়- তাহলে সামান্য পরিমাণ ব্যবহারও জায়েয নয়।